বহু ভাষার অবস্থান ভারতের দুর্বলতা নয় শক্তি, অমিত শাহর প্রস্তাবের বিরোধিতায় মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী
হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষা করার বিরোধিতায় সহমত পোষণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এক টুইট বার্তায় এদিন রাহুল জানান, ‘বহু ভাষার সহাবস্থানে ভারত আসলে দুর্বল নয়, বরং শক্তিশালী।’ এককথায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকেই প্রাধান্য দিলেন রাজীব সোনিয়া তনয়। এই প্রসঙ্গে তিনি ২৩টি ভাষার নাম লিখলেন। প্রতিটি ভাষার আগে জুড়ে দিলেন জাতীয় পতাকার ছবি। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য যে গোটা দেশকে সুন্দর বাঁধনে বেঁধে রেখেছে তা বর্ণনা করতে ভোলেননি রাহুল।
দিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর: হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষা করার বিরোধিতায় সহমত পোষণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এক টুইট বার্তায় এদিন রাহুল জানান, ‘বহু ভাষার সহাবস্থানে ভারত আসলে দুর্বল নয়, বরং শক্তিশালী।’ এককথায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকেই প্রাধান্য দিলেন রাজীব সোনিয়া তনয়। এই প্রসঙ্গে তিনি ২৩টি ভাষার নাম লিখলেন। প্রতিটি ভাষার আগে জুড়ে দিলেন জাতীয় পতাকার ছবি। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য যে গোটা দেশকে সুন্দর বাঁধনে বেঁধে রেখেছে তা বর্ণনা করতে ভোলেননি রাহুল, বিজেপি যে সেই বাঁধনেও ভাঙন ধরাতে তৎপর তা বেশ স্পষ্ট। এদিকে বিজেপির এহেন কাজের বিরোধিতায় সরব দলেরই অনেক নেতা মন্ত্রীরা। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত। সেখানকার বাসিন্দারা তো এমিত শাহের বক্তব্যে বেজায় চটেছেন।
এই প্রসঙ্গে অমিত শাহর পাশে দাঁড়াননি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেছেন, অমিত শাহের বক্তব্যকে সমর্থন করা যায় না। কর্ণাটকের প্রধান ভাষা কন্নড়ই থাকবে। যতই বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হোন না কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এহেন প্রস্তাবকে ফুৎকারে ওড়াতে বেশি সময় নেননি তিনি। একই ভাবে সরব হয়েছেন তামিল অভিনেতা রাজনীতিক কমল হাসান। তাঁর সাফ দাবি, ১৯৫০ সালে তখনই ভারত গণ প্রজাতন্ত্রী দেশের আখ্যা পেয়েছে যখন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে সম্মান জানিয়েছে। সংবিধানে দেশের ভাষা ভিত্তিক চিত্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি যদি সেই স্বীকৃতিকে লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তবে ফল ভাল হবে না। দিল্লির ক্ষমতায় শাহ, সুলতান যেই আসুক না কেন তাঁর মাতৃভাষাকে অবমাননা করার অধিকার কারও নেই। এনিয়ে আন্দোলন শুরু হলে দেশে আগুন জ্বলবে, যেখানে জাল্লিকাট্টুর আন্দোলনও তুচ্ছ। আরও পড়ুন-হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হবে না, অমিত শাহর প্রস্তাবকে পাত্তাই দিলেন না বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা
উল্লেখ্য, দুদিন আগেই হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় দেশজুড়ে হইচই পড়েছে। বিজেপির অন্রেই শুরু হয়েছে গোলযোগ। বাংলা অসম ও সমগ্র দাক্ষিণাত্য কিছুতেই কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে সাড়া দিতে নারাজ। এদিন রাহুল গান্ধীও বৈটিত্রের মাঝে ঐক্যকেই সমর্থন করলেন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)