Army Day 2020: উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, এর জেরে পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বললেন সেনাপ্রধান নারাভানে
গত ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ, কেন্দ্রের এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত (historic step) সেনাদিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে একথাই বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (General Manoj Mukund Naravane)। তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা রদ হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ আর ছায়াযুদ্ধে এঁটে উঠতে পারছে না। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার বহু পথ আছে। আমরা কোনও পথ ব্যবহার করতেই দ্বিধা করব না। একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলব। বিশেষ অধিকার খর্ব হওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি আগের থেকে অনেক কমেছে।
নতুন দিল্লি, ১৫ জানুয়ারি: গত ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ, কেন্দ্রের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপhistoric step) সেনাদিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে একথাই বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (General Manoj Mukund Naravane)। তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা রদ হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ আর ছায়াযুদ্ধে এঁটে উঠতে পারছে না। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার বহু পথ আছে। আমরা কোনও পথ ব্যবহার করতেই দ্বিধা করব না। একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলব। বিশেষ অধিকার খর্ব হওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি আগের থেকে অনেক কমেছে। হালফিলের পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে উপত্যকায় আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল। উপত্যকা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এক স্রোতে চলতে পারছে।”
বুধবার দিল্লিতে ৭২তম সেনা দিবসে বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন সদ্য সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসা নারাভানে। সেখানেই তিনি বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য সত্যিই সুখকর। কেননা এই কয়েক মাসের ব্যবধানে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে যে উপত্যকায় পাথর ছোঁড়া থেকে জঙ্গি নাশকতা সবটাই চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিবিধ উপায় রয়েছে। প্রয়োজনে তার কোনওটিই ব্যবহারে পিছপা হবে না সেনাবাহিনী। শুধু সন্ত্রাসবাদীদের দমন করাই নয়, সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে সেনা।” আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: সুপ্রিম রায়ের পরে পরেই উপত্যকায় ফিরছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা, তবে ব্যক্তিগত স্তরে নাগালের বাইরেই ইন্টারনেট
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি সংবিধানের ৩৫-এর এ ও ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয় সেখান থেকে। এই বিলোপের কারণে যাতে উপত্যকা অশান্ত না হয়ে ওটে সেকারণে আগের দিনই সমস্ত রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বর্তমান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্কতামূলক গ্রেপ্তার করা হয়। এই তালিকায় মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে ফরুক আবদুল্লা ওমর আবদুল্লা রয়েছেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিলেও এই তিনজনের কেউই এখন গ্রেপ্তারির নাগাল থেকে বেরতে পারেননি। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পর আজ থেকেই উপত্যকায় ফের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ফিরেছে। টুজি নেট চালু হলেও তা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হবে। সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে ইন্টারনেট। রাজ্যপাল বিষয়টি তদারকি করছেন।খুব শিগির মোবাইল ইন্টাকনেটও নাকি ফিরতে চলেছে উপত্যকায়।