ভারতে সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে, ২ অক্টোবরের পর নির্দেশ অমান্য করলেই জরিমানা গুনতে হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের পথে হাঁটছে ভারত। গ্রেটার নয়ডায় আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন (UNCCD COP14) সংকট সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি( PM Narendra Modi)। তিনি বলেন, পরিবেশের সঙ্গেই ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে মানুষের ক্ষমতা। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রনেতাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের মতোই সব দেশের সরকারকে হাত মেলাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo Credit: ANI)

দিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর: সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের পথে হাঁটছে ভারত। গ্রেটার নয়ডায় আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন (UNCCD COP14) সংকট সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি( PM Narendra Modi)। তিনি বলেন, পরিবেশের সঙ্গেই ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে মানুষের ক্ষমতা। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রনেতাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের মতোই সব দেশের সরকারকে হাত মেলাতে হবে। একজোট হয়ে এই সংকটের মোকাবিলা করতে হবে। এককথায় ভারতের মতো সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের পথে যে গোটা বিশ্বের হাঁটা উচিত, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

এদিন তিনি বলেন, “আমরা নানা রকম পরিকল্পনা করতেই পারি। কিন্তু সত্যিকারের বদল আনতে হলে হাতে কলমে কাজ করতে হবে মাঠে নেমে। গবেষণা বলছে, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে সারা বিশ্বে সমস্যা বাড়ছে। সারা বিশ্বের যত প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তার প্রায় ৫০ শতাংশ সমুদ্রে গিয়ে মিশছে, ক্ষতি করছে সামুদ্রিক প্রাণীদের। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের স্ট্র, চামচ, ছুরি, কটন বাড– এ সব নিষিদ্ধ করা হবে।” একই পথে হাঁটছে কেন্দ্রও। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ছ’ধরনের প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ছ’টি  দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগ, কাপ, প্লেট, ছোট বোতল, স্ট্র এবং কিছু স্যাশে পাউচ। আরও পড়ুন-রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আকাশ পথ প্রত্যাখানের পর, আর পাকিস্তানের কাছে আবেদনের রাস্তায় যাবে না ভারত

এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী হলে ভারতের বার্ষিক প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন, কমে যাবে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও আরোপ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ছ’মাস পর থেকে ওই জরিমানা কার্যকর করবে কেন্দ্র। এই নিষেধাজ্ঞা কড়া ভাবে মেনে চলা হবে এবং এই ধরনের সমস্ত প্লাস্টিক দ্রব্য উৎপাদন, ব্যবহার ও আমদানির বিষয়টিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জিনিসপত্র প্যাক করার সময়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার কম করতে অনলাইন শপিং সংস্থাগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হবে।