অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা , তিহাড় জেলে যাওয়ার সময় কী বললেন পি চিদম্বরম?
আগেই সিবিআই জানিয়েছিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে আর হেফাজতে রাখতে চায় না। তারপরেই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁর বর্তমান ঠাঁই নির্ধারিত হল তিহাড় জেলে (Tihar Jail)। জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন, তখন এতদিনের আগাম জামিনের প্রসঙ্গ ভুলে, জেল যাত্রা ভুলে চিদম্বরমের সাফ দাবি, দেশের অর্থনীতির কী হবে তাই তিনি ভাবছেন।
দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর: জেলে যেতে চান না বলে বার বার সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছেন পি চিদম্বরম। এই আবেদনের ঠেলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই-এর নাভিশ্বাস উঠেছিল। তবে এতদিনে সেই সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের আর ভানুমতি ও এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ চিদম্বরমের (P Chidambaram) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করতেই একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে ইডি যখন তখন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বিনা বাধায় গ্রেপ্তার করতে পারবে। মূলত ইডির গ্রেপ্তারি এড়াতেই এই আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তবে এরপরেই সিবিআই আদালত (CBI court) পি চিদম্বরমকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত (judicial custody)দেয়।
আগেই সিবিআই জানিয়েছিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে আর হেফাজতে রাখতে চায় না। তারপরেই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁর বর্তমান ঠাঁই নির্ধারিত হল তিহাড় জেলে (Tihar Jail)। জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন, তখন এতদিনের আগাম জামিনের প্রসঙ্গ ভুলে, জেল যাত্রা ভুলে চিদম্বরমের সাফ দাবি, দেশের অর্থনীতির কী হবে তাই তিনি ভাবছেন। (Indian Economy) অর্থাৎ তাঁর জেল হল কি হল না তানিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। এনিয়ে গত মঙ্গলবারই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এক খোঁচা মেরেছেন পি চিদম্বরম। তাঁকে যখন সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই তিনি সাংবাদিকদের দিকে হাতের পাতা উঁচু করে ৫ শতাংশ বোঝানোর চেষ্টা করেন। মসেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ২০১৯-২০ সালের আর্থিক বছরে জিডিপির বিকাশের হার ৫.৮ শতাংশ ছাড়াবে না। এই আর্থিক বছরতের শুরুতে ধরা হয়েছিল, জিডিপির বৃদ্ধি হবে ৬.৩ শতাংশ। কিন্তু প্রথম ত্রৈমাসিকে বিকাশের যে হার দেখা গিয়েছে, তাতে পুরো আর্থিক বছরে বিকাশ ছয় শতাংশে পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ আছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। আরও পড়ুন-পি চিদম্বরম-এর ১৪ দিনের জেল হেফাজত, তিহার জেলেই বন্দি থাকবেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
সেই সমালোচনায় আগের দিন চিদম্বরম যোগ করেছিলেন পাঞ্জা। আর আজ বললেন দেশের অর্থনীতিই তাঁকে এখন সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে। এই তিনিই সরাসরি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ৭৩ বয়সে অসুস্থ অবস্থায় জেলে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁকে সিবিআই বা ইডির হেফাজতে রাখলেও ক্ষতি নেই। তবে, আজ সকালে সুপ্রিম কোর্ট এবং পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।