Hyderabad: করোনা চিকিৎসায় জরুরি ওষুধের কালোবাজারি, হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার ৮

করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের কালোবাজারি (Covid-19 medicine black marketing) হচ্ছে। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে তেলেঙ্গানার পুলিশ। মঙ্গলবার কোভিড চিকিৎসার ওষুধের কালোবাজারিতে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য গ্যাংকে হাতেনাতে ধরল হায়দরাবাদের পুলিশ। ৮ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। কালোবাজারির গ্যাংটিকে গ্রেপ্তারির পর টাস্কফোর্সের তরফে জানানো হয়, ধৃতদের কাছ থেকে রেমডিসেভির, অ্যাকটেমরা, ফ্যাভি ফ্লু উদ্ধার করা হয়েছে। এই ওষুধগুলি করোনা সংক্রামিতর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয়। ধৃত আটজনকেই পাঠানো হয়েছে শ্রীঘরে।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

হায়দরাবাদ, ১৫ জুলাই: করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের কালোবাজারি (Covid-19 medicine black marketing) হচ্ছে। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে তেলেঙ্গানার পুলিশ। মঙ্গলবার কোভিড চিকিৎসার ওষুধের কালোবাজারিতে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য গ্যাংকে হাতেনাতে ধরল হায়দরাবাদের পুলিশ। ৮ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। কালোবাজারির গ্যাংটিকে গ্রেপ্তারির পর টাস্কফোর্সের তরফে জানানো হয়, ধৃতদের কাছ থেকে রেমডিসেভির, অ্যাকটেমরা, ফ্যাভি ফ্লু উদ্ধার করা হয়েছে। এই ওষুধগুলি করোনা সংক্রামিতর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয়। ধৃত আটজনকেই পাঠানো হয়েছে শ্রীঘরে।

এই প্রসঙ্গে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ মিলিগ্রামের ৫১-টি রেমডিসেভির ইঞ্জেকশন, ৪০০ মিলিগ্রামের ৯টি অ্যাকটেমরা ইঞ্জেকশন ও ৮০ মিলিগ্রামের চারটি অ্যাকটেমরা ইঞ্জেকশন উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন হল গগন খুরানা, তার বাড়িদিল্লিতে। বাকিরা হায়দরাবাদের বাসিন্দা। ধৃতদের প্রত্যেকেই হয় ওষুধ সরবরাহকারী বা ওষুধ বিক্রেতা। বাকি ধৃতরা হল কে ভেঙ্কটা সুব্রহ্মনিয়াম, সন্তোষ কুমার, মহম্মদ শাকের, কে কিশোর, রাহুল আগরওয়াল, সইফ আলি মহম্মদ, ফিরদৌস মহম্মদ। বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রতিটি ওষুধই করোনা রোগীর চিকিৎসায় ভীষণ প্রয়োজনীয়। এই মুহূর্তে উল্লেখিত ওষুধগুলির দেশজোড়া চাহিদা রয়েছে। হায়দরাবাদের সাঙ্গারেড্ডি এলাকার হেটেরো কম্পানিতে এই রেমডিসেভির ওষুধটি তৈরি হচ্ছে। বেআইনিভাবে টাকা কামাতে ধৃতরা দলবেঁধে এই করোনা রোগীর জীবনদায়ী ওষুধটিরই কালোবাজারি শুরু করে। আরও পড়ুন-Lockdown Extended In West Bengal: মাত্রা ছাড়া সংক্রমণের থাবা, বাড়ল পশ্চিমবঙ্গের কনটেইনমেন্ট জোনের লকডাউনের মেয়াদ

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রধান অভিযুক্ত কে ভেঙ্কটা সুব্রহ্মনিয়াম হেটেরো কোম্পানি থেকে একলপ্তে অনেক রেমডিসেভির ওষুধ কেনে। এরপর সেই ওষুধ ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করে দেয় সে। তারপর ক্রেতার হাতে যখন রেমডিসেভির পৌঁছালো, তখন তার দাম চাহিদা অনুযায়ী কোথাও ৩০ হাজার আবার কোথাও বা ৪০ হাজার টাকা। গগন খুরানাকে দিয়ে অ্যাকটেমরা নামের ওষুধটি দিল্লি থেকে আনাতো ধৃত রাহুল আগরওয়াল। তাপর বেশি দামে ক্রেতাকে বিক্রি করত।