Take care of Caesar: সিজারকে দেখো, পোষ্যকে ছেড়ে থাকার আশঙ্কায় অভিমানে আত্মঘাতী তরুণী
রাতবিরেতে পোষ্যর ঘেউ ঘেউ রবে পাড় পড়শিদের ঘুম মাথায় উঠেছে। দিন যত যায় ততই পড়শিদের বাড়ির থেকে অভিযোগ আসতে থাকে। বাবারে রাতে ঘুম হয় না, কি পুষেছেন বলুন তো। বাজার থেকে হাট কোথাও বাড়ির কর্তাকে পেলে প্রতিবেশি গিন্নিরা পোষ্যর নিন্দায় মুখর হন। পোষ্যের চেঁচামেচিতে যে গতরাতে ঘুমোতে না পেরে তাঁর প্রেশার বেড়েছে, দুঃস্বপ্ন দেখেছেন এমনই হাজারটা অভিযোগ। বছর দব্বিশের মেয়ে কবিতা কুকুর অন্তঃপ্রাণ।
চেন্নাই, ১ নভেম্বর: রাতবিরেতে পোষ্যর ঘেউ ঘেউ রবে পাড় পড়শিদের ঘুম মাথায় উঠেছে। দিন যত যায় ততই পড়শিদের বাড়ির থেকে অভিযোগ আসতে থাকে। বাবারে রাতে ঘুম হয় না, কি পুষেছেন বলুন তো। বাজার থেকে হাট কোথাও বাড়ির কর্তাকে পেলে প্রতিবেশি গিন্নিরা পোষ্যর নিন্দায় মুখর হন। পোষ্যের চেঁচামেচিতে যে গতরাতে ঘুমোতে না পেরে তাঁর প্রেশার বেড়েছে, দুঃস্বপ্ন দেখেছেন এমনই হাজারটা অভিযোগ। বছর দব্বিশের মেয়ে কবিতা কুকুর অন্তঃপ্রাণ। সে কিছুতেই পোষ্যকে প্রাণে ধরে কোথাও পাঠাবে না তা বাবা ভালই জানতেন তাই প্রতিবেশীদের অভিযোগ অনুযোগ শুনেও না শোনার মতো করে থাকতেন। সেই পড়শিদের কথায় কুকুরকে তাড়াতে বলে মেয়েকে হারালেন বাবা।
হ্যাঁ পোষ্যকে কাছা ছাড়া করতে হবে এই দুঃখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন এক তরুণী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে (Coimbatore)। গত বুধবার সারারাত ভয়ঙ্কর বৃষ্টি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। এই বজ্রপাত-সহ বৃষ্টিতে বেজায় ভয় পেয়ে যায় কবিতার প্রিয় সিজার (Caesar)। পোষ্যকে ওই নামেই ডাকতেন তরুণী। সে প্রায় সারারাত চিৎকার করে। পরদিন প্রতিবেশীরা বাড়িতে চড়াও হয়ে সিজারকে তাড়ানোর জন্য অনুনয় বিনয় করে যান। বৃহস্পতিবার বাবা নিজে মেয়েকে সেকথা জানিয়ে ধমক দেন। পোষ্যকে কোথাও ছেড়ে আসতে বলেন। কবিতে বাবার কথায় কোনও প্রতিবাদ করেননি। সেদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। আরও পড়ুন-Job Loss: দুঃসংবাদ! ২০১১-১৮ এই ৬ বছরে ৯০ লক্ষ চাকরি খুইয়েছে ভারত
প্রায় দুবছর ধরে সিজার রয়েছে কবিতার কাছে। পোষ্যর উপরে বেজায় মায়া পড়েছে তাঁর। সিজারকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেও পারেন না। এদিকে বাবা তাঁকে সিজার ছাড়া হতে বলেছেন। বাবার কথাও বা ফেলবে কী করে ভেবে না পেয়ে আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ও সিজারকে যত্ন করে দেখে রাখার আবেদেন করেছেন বাড়ির সদস্যদের কাছে। প্রত্যেকের যে এই পৃথিবীতে শান্তি বেঁচে থাকার অধিকার আছে তাও জানিয়ে দিয়েছেন। গোটা ঘটনায় হতবাক পড়শিরা, মেয়েকে হারিয়ে বোবা হয়ে গিয়েছেন বাবা-মা।