Health Minister Harsh Vardhan: ভারতে আরও ২৯ হাজার সংক্রমণ ও ৭৮ হাজার মৃত্যু রুখেছে লকডাউন, সংসদে বললেন হর্ষবর্ধন
দেশজুড়ে লকডাউনই ভারতকে আরও আরও ২৯ লক্ষ সংক্রমণ ও ৭৮ হাজার মৃ্ত্যু মিছিল থেকে বাঁচিয়েছে। সোমবার সংসদের অধিবেশনে একথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Health Minister Harsh Vardhan)। এদিন তিনি বলেন “দেশজুড়ে টানা লকডাউনের সিদ্ধান্তে সরকারের সাহসি পদক্ষেপ ছিল। এর ফলেই দেশের কোভিড-১ পরিস্থিতি এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লকডাউনের সিদ্ধান্তেই আরও ১৪-২৯ লাখ সংক্রমণকে রুখেছে। একই সঙ্গে আরও ৩৭-৭৮ হাজার মৃত্যু মিছিলও স্তব্ধ হয়েছে।”
নতুন দিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর: দেশজুড়ে লকডাউনই ভারতকে আরও আরও ২৯ লক্ষ সংক্রমণ ও ৭৮ হাজার মৃ্ত্যু মিছিল থেকে বাঁচিয়েছে। সোমবার সংসদের অধিবেশনে একথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Health Minister Harsh Vardhan)। এদিন তিনি বলেন “দেশজুড়ে টানা লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকারের সাহসী পদক্ষেপ ছিল। এর ফলেই দেশের কোভিড-১ পরিস্থিতি এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লকডাউনের সিদ্ধান্তেই আরও ১৪-২৯ লাখ সংক্রমণকে রুখেছে। একই সঙ্গে আরও ৩৭-৭৮ হাজার মৃত্যু মিছিলও স্তব্ধ হয়েছে।” এই চার মাসের লকডাউনেই দেশে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। করোনাকে ঠেকাতে মানব সম্পদের শক্তিবৃদ্ধি-সহ মাস্ক, পিপিই কিটের উৎপাদন, ভেন্টিলেটরের বন্দোবস্ত। বর্তমানে করোনার সঙ্গে লড়াইতে প্রয়োজনীয় এই জিনিসপত্রের পর্যাপ্ত জোগান দেশের কাছে রয়েছে।
এদিকে সোমবার ৯২ হাজার ৭১ জন নতুন সংক্রামিতকে নিয়ে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (Coronavirus Cases In India) ছাড়ালো ৪৮ লাখ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ১ হাজার ১৩৬ জন। সবমিলিয়ে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে সংক্রামিত ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ১০৮ জন। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ৭৯ হাজার ৭২২ জন। আইসিএমআর-এর তথ্যানুসারে একদিনে দেশে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০টি নমুনার করোনা টেস্ট হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৮টি নমুনার করোনা টেস্ট হয়েছে। আরও পড়ুন-Umar Khalid: ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ
হর্ষবর্ধন আরও বলেন, “বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন সংক্রমণ ও আক্রান্তের মৃত্যুর খবর আসছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, অসম, কেরালা ও গুজরাট থেকে। তবে এর মধ্যে দেশের ৯২ শতাংশ করোনা রোগীর উপসর্গ মৃদু। এর মধ্য়ে মাত্র ৫.৮ শতাংশ কেসে রোগীদের জন্য অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। এবং সংকটজনক পরিস্থিতি হচ্ছে ১.৭ শতাংশ কেসে।”