BJP MLA Surendra Singh: 'হাথরাসের মত ঘটনা রোখা যেত যদি পরিবার মেয়েটিকে সংস্কারী করে তুলত', পরামর্শ বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংয়ের

হাথরাসকাণ্ডের মধ্যেই ভস্মে ঘি ঢাললেন উত্তরপ্রদেশের বিলাইয়ের বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং। তাঁর মন্তব্যে ফেটে পড়ে দেশবাসী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? ধর্ষণ কীভাবে রাখা যায়, তার উত্তরে তিনি বলেন মেয়েরা সংস্কারী হলে। কীভাবে চলা ফেরা, আচার আচরণ করা উচিত, তা যুবতী মেয়েদের শেখানো হোক যাতে তাঁরা শালীন হতে পারেন। আসলে মেয়েদের সে ভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় না। একমাত্র সুশিক্ষা, মূল্যবোধ এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে পারে। প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত তাঁদের মেয়েকে ভাল শিক্ষা দেওয়া। সরকার ও সুশিক্ষার মধ্যে দিয়েই সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে পারে।

বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং (Photo Credits: ANI)

বালিয়া, ৪ অক্টোবর: হাথরাসকাণ্ডের (Hathras Case) মধ্যেই ভস্মে ঘি ঢাললেন উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার (Balliya) বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং (BJP MLA Surendra Singh)। তাঁর মন্তব্যে ফেটে পড়ে দেশবাসী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? ধর্ষণ কীভাবে রোখা

যায়, তার উত্তরে তিনি বলেন মেয়েরা সংস্কারী হলে। কীভাবে চলা ফেরা, আচার আচরণ করা উচিত, তা যুবতী মেয়েদের শেখানো হোক যাতে তাঁরা শালীন হতে পারেন। আসলে মেয়েদের সে ভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় না। একমাত্র সুশিক্ষা, মূল্যবোধ এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে পারে। প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত তাঁদের মেয়েকে ভাল শিক্ষা দেওয়া। সরকার ও সুশিক্ষার মধ্যে দিয়েই সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে পারে।

হাথরাসে দলিত পরিবারের ১৯ বছর বয়সী তরুণীর গণধর্ষণ এবং খুনের কাণ্ডে এই মন্তব্যই করেন তিনি। দোষীদের ওপর আঙ্গুল না তুলে সরাসরি মেয়েদের দোষী বলায় নিন্দায় মুখর হয় দেশবাসী। তাঁর মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপির দলীয় সদস্যরাও। পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয় নেটিজেনরা। এ কোন সমাজে আমরা বাস করছি সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। আরও পড়ুন, নির্যাতিতার পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা, সরকারি চাকরি দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার

১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে নিজের গ্রামের বাইরে মাঠে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই যুবতি। ঘাসের বোঝা নিয়ে তাঁর ভাই আগে বাড়ি চলে গেছিলেন। ঘাস কাটতে কাটতে মায়ের থেকে ওই যুবতি কিছুটা দূরে চলে যান। সেই সময় চার যুবক তাঁকে বাজরা ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। বেধড়ক মারধার করা হয়। কেটে দেওয়া হয় জিভ। পরের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয়। গতরাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।