এই প্রথম তীব্র নগদ সমস্যায় ভারতের বাজার, কেউ কাউকে ধার দিতে রাজি নয়; নীতি আয়োগ
ভারতীয় অর্থনীতি এখন তীব্র নগদ সমস্যার (Economic Slowdown) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭০ বছরের মধ্যে এমন সংকটে সরকারকে পড়তেই হয়নি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কোনও রাখঢাক না করেই এই তথ্য জানালেন নীতি আয়োগের (Niti Aayog) ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
দিল্লি, ২৩ আগস্ট: ভারতীয় অর্থনীতি এখন তীব্র নগদ সমস্যার (Economic Slowdown) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭০ বছরের মধ্যে এমন সংকটে সরকারকে পড়তেই হয়নি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কোনও রাখঢাক না করেই এই তথ্য জানালেন নীতি আয়োগের (Niti Aayog) ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। বাজারে নগদের যোগান বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাংক এরই মধ্যে চার বার রেপো রেট কমিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলিকে বলা হয়েছে, ঋণের উপর সুদের হার কমিয়ে এর সুবিধা যেন তারা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। সেই সঙ্গে নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি গুলিতে নগদের যোগান বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিতে সাহায্যের হাত বাড়াতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও খুব শিগগির আরও কিছু ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করতে পারে সরকার।
রাজীব কুমারের মতে, এ হেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের দুটি পথ রয়েছে। এক, সরকারকে এমন কিছু পদক্ষেপ করতে হবে যাতে বাজার চাঙ্গা হয়। দুই, যে কোনও ভাবেই হোক বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা কমানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাংক সংকট কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে। সরকারি তরফেও শুরু হয়েছে কাজকর্ম। তবে এই প্রথম এমনটা নয়, মনমোহন সিং সরকারের আমলেও মন্দার গ্রাসে পড়েছিল ভারতীয় অর্থনীতি। সালটা ২০০৮, সেই সময় ইউপিএ সরকারের গুচ্ছ পদক্ষেপের জেরে সে যাত্রায় কোনওক্রমে উদ্ধার পেয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মোদি জমানায় ধারাবাহিক ভাবেই অর্থনীতির ছবিটা খারাপ। প্রথমে নোটবন্দির ধাক্কায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বড় ধাক্কা খেয়েছে। বাজারে নগদ কমে গিয়েছে। সব থেকে সংকটে পড়েছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। তার পরে পরেই পণ্য পরিষেবা কর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বহু ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়ে। এখন নতুন করে নগদের সমস্যায় আক্রান্ত অর্থনীতি। আরও পড়ুন-INX Media Case: আদালতের নির্দেশে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে পি চিদম্বরম
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুকারক সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গিয়েছে। শিল্পে উৎপাদন এতটাই পড়ে গিয়েছে যে কোম্পানি বাঁচাতে কর্মী ছাঁটাই ছাড়া আর উপয়া থাকছে না। প্রখ্যাত বিস্কুট প্রস্তুতকারক পার্লে মারি সংস্থা ইতিমধ্যেই দশ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর প্রকাশ্যে এনেছে। এসব শুনেই রাজীব কুমার বলেছেন, বাজারের অবস্থা ভাল নয়, আস্থার ঘাটতি এতটাই প্রবল যে কেউ ধার দিতে চাইছে না।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)