তীব্র গ্যাসের গন্ধে রাতভর আতঙ্কে মুম্বই, চেম্বুর গ্যাস প্ল্যান্টে লিকেজ, জানাল বিএমসি
স লিক হওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীররাতে আতঙ্ক ছড়াল মুম্বইতে। রাতভর বৃহন্মুম্বই পুরসভাতে বাসিন্দাদের তরফে একের পর এক অভিযোগ এল। গোটা শহরের বাসিন্দারাই নাকি গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন, তবে কোথা থেকে গ্যাস লিক হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বোঝা না গেলেও প্রায় সকলেরই দাবি মুম্বইয়ের পূর্ব শহরতলিতেই সাধারণত ঘটনাটি ঘটেছে, এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে পুরসভা জানায়, চেম্বুরের রাষ্ট্রীয় রাসায়নিক ফার্টিলাইজারেই ঘটনাটি ঘটেছে।
মুম্বই, ২০ সেপ্টেম্বর: গ্যাস লিক হওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীররাতে আতঙ্ক ছড়াল মুম্বইতে। রাতভর বৃহন্মুম্বই পুরসভাতে বাসিন্দাদের তরফে একের পর এক অভিযোগ এল। গোটা শহরের বাসিন্দারাই নাকি গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন, তবে কোথা থেকে গ্যাস লিক হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বোঝা না গেলেও প্রায় সকলেরই দাবি মুম্বইয়ের পূর্ব শহরতলিতেই সাধারণত ঘটনাটি ঘটেছে, এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে পুরসভা জানায়, চেম্বুরের রাষ্ট্রীয় রাসায়নিক ফার্টিলাইজারেই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে লিকেজের বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে। মেরামতিরও কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এরপরেই এক টুইটবার্তায় বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়, “চিন্তার কোনও কারণ নেই, বাসিন্দারা এক অদ্ভুত গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সবারই দাবি, পূর্ব ও পশ্চিম শহরতলি থেকেই গ্যাস লিক হচ্ছে। শহরের সমস্ত সংস্থাকে এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লিকেজের সন্ধানে দমকলের ৯ টি ইঞ্জিনকে রওনা করে দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম জিজ্ঞাস্য থাকলে বাসিন্দারা 1916 নম্বরে ফোন করতে পারেন।” এরপর মহানগর গ্যাস লিমিটেডের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “তাদের কোনও পাইপলাইনে লিকেজ ধরা পড়েনি, তাই এই গ্যাস লিকের সঙ্গে এমজিএল-এর কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও আমাদের জরুরি পরিষেবার দলটি সবকিছু খতিয়ে দেখছে, কিছু সমস্যা থাকলে খুব শিগগির আপডেটও দেওয়া হবে।” যদিও জরুরি অবস্থার সময় মহানগর গ্যাস লিমিটেডের এহেন আচরণে বেজায় অসন্তুষ্ট মুম্বইয়ের বাসিন্দারা। আরও পড়ুন-আজব কাণ্ড! অটোতে ১৮ কিমি রাস্তা পাড়ি দিতে যাত্রী গুনলেন ৪ হাজার ৩০০ টাকা
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক মুম্বইকর। তিনি বলেন, “যখন রাত দশটার পর বাড়ির মধ্যে এক অস্বাভিক গ্যাসের গন্ধ বেরতে শুরু করলে তখন বাইরে বেরিয়ে আসি। বাতাসে গন্ধটা এমনভাবে মিশে ছিল যে শ্বাস নিতে পারছিলাম না। তারপরে মহানগর গ্যাস লিমিটেডে ফোন করতেই দেখা যায় তাদের ল্যান্ডলাইন কাজ করছে না। কী করে এমন একটা নাগরিক পরিষেবা সংস্থা জরুরি অবস্থায় দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ব্যবহার করতে পারে।” মূলত চান্দিভালি, চেম্বুর, ঘাটকোপার, পাওয়াই, আন্ধেরি, মানখুর্দ, গোভান্দি এলাকা থেকেই গ্যাসের গন্ধ পেয়ে অভিযোগ আসে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)