Lok Sabha Elections 2019: উন্নয়নের চাপে সংকটে অরণ্য, হুঁশ নেই কোনও রাজনৈতিক দলের

ভোট মানেই একটাই বার্তা সব রাজনৈতিক(Political Party) দলের।

চিল্কিগড়ের অরণ্য(file pic)

৭ মে,২০১৯: ভোট মানেই একটাই বার্তা সব রাজনৈতিক(Political Party) দলের। উন্নয়ন। বাম–অবাম দল যেই হোক না কেন তাঁদের মুখে একটাই কথা শোনা যায় উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের অর্থ হল কারখানা(Factory), নতুন রাস্তা। কিন্তু সেই উন্নয়নের হিড়িকে দেশে বনাঞ্চল হারিয়ে যেতে বসেছে। পরিসংখ্যান বলছে দেশের ২১.‌৫৪ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে জঙ্গল। ইন্ডিয়া স্টেট ফরেস্ট রিপোর্টে (India State Forest)জানা গিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে ভয়ঙ্কর ভাবে কমতে শুরু করেছে বনাঞ্চল(Forest)। যার অন্যতম কারণ এই উন্নয়ন। সড়ক নির্মাণ, কারখানা স্থাপন, দপ্তর নির্মাণ সহ একাধিক কাজে যথেচ্ছ ভাবে হয়েছে বনাঞ্চলের বৃক্ষচ্ছেদন।

যবতমল অরণ্যের ৪৬৭ একর জমি রিলায়েন্সকে (Reliance)কারখানা করার জন্য দিয়েছে সরকার। আদানি গ্রুপকে (Adani Group) নভেগাঁও নাগজিরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্যের ১৪১.‌৯৯ হেক্টর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এরকম ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৫৪৬৪৮.‌৫৪ হেক্টর জমি বিভিন্ন কারখানা স্থাপনের জন্য বণ্টন করেছে সরকার। এর মধ্যে যে রাজ্যগুলিতে অরণ্য সবচেয়ে বেশি সংকটে তারমধ্যে শীর্ষে রয়েছে মধ্য প্রদেশ(MadhyaPradesh)। তারপরেই রয়েছে তেলঙ্গানা(Telengana), ওড়িশা,মহারাষ্ট্রr(Maharastra), উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)।

২০১৭–২০১৯ সালের মধ্যে মধ্য প্রদেশের মোট ১২৭৮৫.‌৯৮ হেক্টর বনাঞ্চল শিল্প স্থাপন, সড়ক নির্মাণ সহ একাধিক কাজে দেওয়া হয়েছে। তেলঙ্গানার মোট ৯৪২০.‌২৪ হেক্টর বনাঞ্চল বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে জন্য দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার (Odisha)৪৯৬৮.৪৮ হেক্টর জমি বিতরণ করা হয়েছে ৫৮টি প্রকল্পের জন্য।

ভোটে প্রচারে গিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন উন্নয়নের কথা বলেন তখন এই কথাটি মনে রাখতে তাঁরা ভুলে যান।