Jagdeep Dhankhar: আগামীকাল ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন! আজ ছাত্রদের সঙ্গে রাজভবনে কথা বলার প্রস্তাব দিয়ে বেরিয়ে গেলেন জগদীপ ধনখড়
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পড়ুয়া-আচার্য তর্জার পর বিশ্ববিদ্যালয় (University) ছেড়ে আজকের মত বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। তবে জানিয়ে গেলেন, আগামীকাল ফের তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাছাড়া এদিন ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব দেবেন রাজ ভবনে, এমনটাও জানিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি।
কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে পড়ুয়া-আচার্য তর্জার পর বিশ্ববিদ্যালয় (University) ছেড়ে আজকের মত বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। তবে জানিয়ে গেলেন, আগামীকাল ফের তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাছাড়া এদিন ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব দেবেন রাজ ভবনে, এমনটাও জানিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি।
গুরুত্ব বোঝাতে সোমবার বিনা নিমন্ত্রণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কোর্ট বৈঠকে হাজির হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যার জেরে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখে গেটেই রাজ্যপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আটকে রেখেই চলতে থাকে গো-ব্যাক স্লোগান। ওড়ানো হয় কালো পতাকা। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, প্রায় ৫০ মিনিট আটকে থাকার পর ছাত্রদের প্রশ্ন-উত্তরের শর্ত মেনে শেষ পর্যন্ত গাড়ি থেকে নামতে পারেন রাজ্যপাল। তারপর প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। যদিও বৈঠক কক্ষের বাইরে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের তরফে জমা হয়ে একটানা স্লোগানিং চলতে থাকে। বিক্ষোভে যোগ দেন কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরাও। রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, তিনি কোর্টের বৈঠকে থাকবেন না। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দেবেন। সেইমত প্রায় আধ ঘণ্টা পর পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখে দাঁড়ান আচার্য। এদিন প্রশ্ন-উত্তর শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যপাল বলেন, আমি আপনাদের রাজ্যপাল, আপনাদের আচার্য। আমিও ছাত্র ছিলাম। আমি চেষ্টা করব ছাত্রদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে। আমি কোনওভাবেই ছাত্রদের বিপক্ষে নই। এদিন তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে যে তিনি বিরোধিতার সম্মুখিন হবেন তা তিনি আগেই জানতেন। তবুও তিনি এসেছেন, কারন তিনি চান পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে। পাশাপাশি তিনি বলেন, সংবিধান (Constitution) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত এক্তিয়ারে থেকে তাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব উত্তর দেওয়ার তা তিনি দেবেন। আর কোনও প্রশ্নের জবাব তাঁর কাছে না থাকলে যার কাছে থাকবে তাঁর থেকে জেনে বলবেন। আর সেই পথে হেঁটেই পড়ুয়াদের প্রশ্নের সিংহ ভাগের উত্তরের দায় তিনি চাপিয়ে দেন রাজ্য সরকারের কাঁধে। পড়ুয়াদের তরফে NRC এবং CAA বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ছাত্রদের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে আসুক। তিনি সব কথা শুনে এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এরপরই বাবুল সুপ্রিয় প্রসঙ্গে টেনে ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই ঘটনায় বহিরাগতদের তাণ্ডবে অনেক ছাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন, তার কোনও উত্তর কেনও তিনি দেননি? এর জবাবে সরাসরি রাজ্য সরকারের দিকে নিশানা করে রাজ্যপাল বলেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য সরকারের তরফে পৌঁছায়নি। তিনি বহুবার রাজ্য সরকারের কাছে সেই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোন উত্তর আসেনি। আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: বিনা নিমন্ত্রণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতেই গো-ব্যাক স্লোগান! জগদীপ ধনখড়ের উদ্দেশ্যে কালো পতাকা ওড়াল পড়ুয়ারা
এদিন যাদবপুরের পড়ুয়ারা এনআরসি, সিএএ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজ্যের অবস্থানের বাইরে গিয়ে আপনি কথা বলছেন কেনও? আচার্যের জবাব, রাজভবনের (Raj Bhawan) দরজা সর্বদা পড়ুয়াদের জন্য খোলা। পড়ুয়ারা এই বিষয়ে তাঁকে যুক্তি সহকারে যদি বোঝাতে পারেন, তবে তিনি কোনও সরকারকে পরওয়া করেন না। কারণ তিনি সংবিধানকে সামনে রেখেই কাজ করেন। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি স্পষ্ট বলেন, রাজ্যপাল সংবিধানের পক্ষে।