DRDO Scientist Honey-Trapped: ডিআরডিও'র বিজ্ঞানীকে মধুচক্র চলা হোটেলের ঘরে আটকে রেখে মুক্তিপণের দাবি, অভিযুক্ত মূল পাণ্ডার বিজেপি ও বিগ বস যোগ
ডিআরডিও'র এক ৩৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানীকে মধুচক্র চলা একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। এই মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিগ বসের প্রতিযোগীসহ পাঁচজন। তারাই এই বিজ্ঞানীকে আটক করে রেখেছিলেন। নয়ডার একটি হোটেল যার দায়িত্বভার রয়েছে ওয়ও রুমসের কাছে, সেখানেই আটক করা হয়। মধুচক্রের দলটি বিজ্ঞানীর মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে।
নতুন দিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর: ডিআরডিও'র (DRDO) এক ৩৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানীকে (Scientist) মধুচক্র (Honey-trapped) চলা একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। এই মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিগ বসের প্রতিযোগীর সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা সহ পাঁচজন। তারাই এই বিজ্ঞানীকে আটক করে রেখেছিলেন। নয়ডার একটি হোটেল যার দায়িত্বভার রয়েছে ওয়ও রুমসের কাছে, সেখানেই আটক করা হয়। মধুচক্রের দলটি বিজ্ঞানীর মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই বিজ্ঞানী প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এর সঙ্গে যুক্ত। একটি ওয়ও হোটেলে সারাদিন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা অভিযুক্তের নাম সুনিতা গুর্জার ওরফে বাবলী, যার ফেসবুক প্রোফাইলে দাবি করা হয়েছে যে তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা। জানা যায়, এই মহিলা বিগ বসের প্রতিযোগিতায় কয়েকদিনের জন্য এসেছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শো হোস্ট এবং অভিনেতা সলমান খানের সঙ্গে ছবিগুলি ফ্লান্ট করেছিলেন।
আরও পড়ুন, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৬১.৪৫ লাখ, মৃত্যু মিছিলে শামিল ৯৬,৩১৮ জন
মহিলা দাবি করেছিলেন যে তিনি বিগ বস ১০ এর বিজয়ী মনভীর গুর্জরের আত্মীয়। পুলিশ রবিবার রাতে সুনিতা এবং আরও তিন জনকে সেক্টর ৪১ -র একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থল থেকে পালানো অন্য দুই আসামির সন্ধানও করছে। 'ম্যাসাজ সার্ভিস' সরবরাহ করার অজুহাতে এই দলটি লোকজনকে কিডন্যাপ করত। এটি এইরকম দ্বিতীয় চক্র যাদের পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছে।
সুনিতার সংস্পর্শে আসার পরে নয়ডার সেক্টর ৭৪-র বাসিন্দা এই বিজ্ঞানী ম্যাসাজ পার্লারের সন্ধান করছিলেন। তিনি পার্লারের নম্বরে কল করলে তাকে লগিক্স সিটি সেন্টারে আসতে বলা হয়েছিল। ওয়ওর পরিচালিত কুণাল আবাসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে এবং একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। পরে অপহরণকারীরাতাঁর স্ত্রীকে ডেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর পুলিশের কায়দায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং ব্যক্তিকে মুক্ত করা হয়।