Shaheen Bagh: শাহীনবাগে সিএএ প্রতিবাদী মিছিলে পিস্তল উঁচিয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তি, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধুন্ধুমার

সিএএ নিয়ে শাহীনবাগে মহিলাদের বিক্ষোভ গত ৪০ দিন ধরে এখনও চলছে। বিক্ষোভের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে দেখা গেল বন্দুক হাতে ঘুরতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি বিক্ষোভস্থলে আসে, বন্দুক উঁচিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তারা আরও জানায়, ব্যক্তিটি মিছিল ভঙ্গ করতেই এসেছিল। যার ফলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে প্রতিবাদ। ব্যাক্তির নাম হাজি লুকমান। ওই এলাকারই বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের গুলি মারার জন্য তেড়ে আসে। এরপর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ধস্তাধস্তি মারামারি বেধে যায়। মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

শাহীনবাগে বিক্ষোভ (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৯ জানুয়ারি: সিএএ নিয়ে শাহীনবাগে (Shaheen Bagh) মহিলাদের বিক্ষোভ গত ৪০ দিন ধরে এখনও চলছে। বিক্ষোভের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে দেখা গেল বন্দুক হাতে ঘুরতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি বিক্ষোভস্থলে আসে, বন্দুক উঁচিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তারা আরও জানায়, ব্যক্তিটি মিছিল ভঙ্গ করতেই এসেছিল। যার ফলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে প্রতিবাদ (Protest)। ব্যাক্তির নাম হাজি লুকমান। ওই এলাকারই বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের গুলি মারার জন্য তেড়ে আসে। এরপর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ধস্তাধস্তি মারামারি বেধে যায়। মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পুলিশ এই ভিডিও ফুটেজটি খতিয়ে দেখছে। বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে কোনও পিসিআর কল আসেনি বলে দাবি পুলিশের। তাই ব্যক্তিটি কে, কেন এসেছিলেন তার ব্যাপারে জানা যায়নি। তবে যে বন্দুকটি নিয়ে এসেছিল তার লাইসেন্স রয়েছে। শাহীনবাগে প্রায় হাজারখানেক মানুষ বিক্ষোভ করছে। পুলিশ বারবার বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার ফলে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের দেওয়া স্লোগান নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। সিএএ-র বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন,"দেশ ককে গাদ্দারও কো, গলি মারো শা..কো।" যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেস এবং শিবসেনাও। আরও পড়ুন,  দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার JNU-র প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমাম

অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া JNU-র প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামকে (Sharjeel Imam) গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বিহারের জাহানাবাদ (Jahanabad) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অসম, মনিপুর, অরুণাচলপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ শারজিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দিল্লির শাহিনবাগে শারজিল ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত।