বিপর্যয়ের মুখে ভারতীয় অর্থনীতি ৬ বছরে জিডিপি নামল ৫ শতাংশে
৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু হওয়া দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে সেই অর্থনীতিই বিপর্যয়ের মুখে। শুরুতেই আর্থিক বৃদ্ধির নাম গেল পাঁচ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাস, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এই প্রথম পরপর দু’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ নীচে রইল।
দিল্লি, ৩১ আগস্ট: ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু হওয়া দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে সেই অর্থনীতিই বিপর্যয়ের মুখে। শুরুতেই আর্থিক বৃদ্ধির নাম গেল পাঁচ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাস, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এই প্রথম পরপর দু’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ নীচে রইল। ২০১৩-র জানুয়ারি-মার্চের পর থেকে আর্থিক বৃদ্ধির হার এত খারাপ কখনও হয়নি। তখন বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে নামায় মনমোহন সিংহের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বিজেপি। এবার আরও খারাপ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার (2nd Modi Govt)।
আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নামায় একে ‘অর্থনীতির জরুরি অবস্থা’ বলে সরব হয়েছে কংগ্রেস।বাজারে বিক্রি নেই, নতুন লগ্নি আসছে না, কৃষি ক্ষেত্রেও অবস্থা ভাল নয়— এত দিন অর্থনীতির নানা অসুখের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। আজ সরকারি পরিসংখ্যান স্পষ্ট করে দিল, অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, আবাসনের মতো ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে আরও কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। সুব্রহ্মণ্যনের বক্তব্য, এর ফলে বেসরকারি লগ্নি বাড়বে। তার সঙ্গে বৃদ্ধির হারও। কিন্তু কবে? সুব্রহ্মণ্যনের যুক্তি, কিছু আশার আলো ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। যেমন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বেড়েছে। কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার ৭৬ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। লগ্নি আবার উঠতে শুরু করেছে। অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য মনে করছেন, ঝিমুনি কাটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে যথেষ্ট সময় লাগবে। আরও পড়ুন-অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মিশে গেল ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, কী বললেন নির্মলা সীতারমণ?
বাজার তথা শিল্প মহলের আস্থা ফেরাতে গত শুক্রবার এক প্রস্ত ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। কর আদায় ব্যবস্থা সহজ করা থেকে শুরু করে গাড়ি শিল্পের জন্য আর্থিক ছাড় ঘোষণা ইত্যাদি করেছেন তিনি। আজ আবার, নতুন এক প্রস্ত ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দেশের ১০ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কে মিশিয়ে চারটি বড় ব্যাংকে পরিণত করা হবে। তার ফলে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা আরও বাড়বে। কিন্তু এর পরেও প্রশ্ন রয়েছে, ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে বাজারে আগ্রহ রয়েছে কি? কেন না নীতি আয়োগের ডেপুটি চেয়ারম্যানই কদিন আগে স্বীকার করেছেন, বাজারে কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না। শুধু সরকারের উপর আস্থার ঘাটতি নেই। বেসরকারি ক্ষেত্রেও পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি রয়েছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)