গত 10 মাসে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হারালো দিল্লি, সুষমা স্বরাজের প্রয়ানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক
ক দিনের ব্যবধানে দিল্লির দুই জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে হারাল দিল্লি। শীলা দীক্ষিতের পর এবার সুষমা স্বরাজ। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, তিন মাসের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ।
নয়া দিল্লি, ৭ অগাস্ট: ক দিনের ব্যবধানে দিল্লির দুই জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে হারাল দিল্লি। শীলা দীক্ষিত (Sheila Dikhsit) পর এবার সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, তিন মাসের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ। তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসনে বসেন শীলা দীক্ষিত। গত মাসেই শীলা দীক্ষিত মারা যান কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। একই কারণে সুষমা স্বরাজও প্রায়ত হলেন।
গত বছর অক্টোবরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মদনলাল খুরান। মদনলাল খুরানা ১৯৯৩-৯৬ পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। প্রথমে মদনলাল খুরান, তারপর শীলা দিক্ষীত, আর এখন সুষমা স্বারজ। তার মানে মাত্র দশ মাসের ব্যবধানে দিল্লির তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রাণ হারালেন। আরও পড়ুন-সুষমা স্বরাজকে ৭০ মিনিট ধরে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন AIMS-র ডাক্তাররা
সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া। আজ দুপুর ৩টায় সুষমা স্বরাজের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। গতকাল রাতে তাঁর দেহ AIIMS থেকে তাঁর বাসভবনে আনা হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত সুষমা স্বরাজের দেহ তার বাসভবনে থাকার পর, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ বিজেপি-র সদর দফতরে শায়িত থাকবে। তারপর দিল্লির লোধি রোডের তাঁর শেষযাত্রা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। লালকৃষ্ণ আদবানী থেকে অমিত শাহ, রাহুল গান্ধী। দেশের শীর্ষনেতারা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেন। প্রয়াত প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আধঘণ্টা আগেই তাঁকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও শ্রীমতী স্বরাজকে কিন্তু দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রীসভায় দেখা যায়নি।
তিনি আগেভাগেই দায়িত্ব থেকে অবসর চেয়ে নিয়েছিলেন। এনিয়ে নানরকম গুঞ্জন উঠলেও তাতে পাত্তা দেননি। তবে শ্রীমতী স্বরাজ একা নন দ্বিতীয় মোদি সরকারের জমানায় মন্ত্রীত্বের দাবিদার হতে চাননি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও।