এবার কি ওকালতি ছেড়ে বিজেপিতে সুষমা কন্যা বাঁশুরি স্বরাজ? রাজধানীতে গুঞ্জন

বাবা স্বরাজ কৌশলের বক্তব্যের পরই মাকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করলেন সুষমা কন্যায় বাঁশুরি স্বরাজ (Bansuri Swaraj)। বছর ৩৫-এর বাঁশুরি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। লন্ডন থেকেই আইন পাশ করে এখন সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে ওকালতি করছেন। একেবারে মায়ের মতো। এদিন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই বসতে দেখা যায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন, তবে কি মায়ের পরে বিজেপিতে আসছেন বাঁশুরি স্বরাজ?

মায়ের স্মরণ সভায় বাঁশুরি স্বরাজ(Photo Credit: ANI Twitter)

দিল্লি, ১৪ আগস্ট: দেখতে দেখতে সপ্তাহ কেটে গেল, পরলোকে চলে গিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)। মঙ্গলবার রাজধানীতে প্রয়াত বিজেপি নেত্রীর স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, (PM Narendra Modi) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-সহ (Amit Shah)অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব। বিরোধী রাজনীতিকরাও ছিলেন শ্রীমতী স্বরাজের স্মরণ সভায়।  বাবা স্বরাজ কৌশলের বক্তব্যের পরই মাকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করলেন সুষমা কন্যায় বাঁশুরি স্বরাজ (Bansuri Swaraj)। বছর ৩৫-এর বাঁশুরি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। লন্ডন থেকেই আইন পাশ করে এখন সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে ওকালতি করছেন। একেবারে মায়ের মতো। এদিন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই বসতে দেখা যায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন, তবে কি মায়ের পরে বিজেপিতে আসছেন বাঁশুরি স্বরাজ? আরও পড়ুন-সুষমা স্বরাজের আজ সবুজ শাড়ি পরার কথা ছিল, জানেন কেন

 বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে কেউই মুখ খোলেননি। বাঁশুরি-ও এনিয়ে কিছুই প্রকাশ্যে আনেননি। তবে মায়ের স্মরণ সভায় তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বার্তালাপ করছিলেন তা সকলেই দেখেছেন। মাকে নিয়ে বলতে উঠে প্রথমেই জানালেন শ্রীমতী স্বরাজ মেয়ের প্রিয় বন্ধু ছিলেন। ‘‘মা আমার সবথেকে বড় বন্ধু।’’ এই ব্যক্তিগত সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতাও জানালেন। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যিনি শ্রীমতী স্বরাজের একদা সহকর্মী তিনি তো মায়ের রূপ মেয়ের মধ্যে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রথমেই বললেন, ‘‘বাঁশুরীর মধ্যে সুষমাজির প্রতিফলন দেখি। মায়ের প্রয়াণের পর পরিণত ভাবে নিজের বাবা, পরিবারকে সামলেছেন।’’ বাঁশুরি স্বরাজের প্রসঙ্গে টেনে তিনি যে বিজেপিতে তরুণ রাজনীতিকের আগমন বার্তাকে শুনিশ্চিত করতেচাইলেন তা উপস্থিত পোড় খাওয়া রাজনীতিকদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি।

বিজেপি আয়োজিত স্মরণসভায় অনেকেই বলাবলি করছিলেন, গত পাঁচ বছরে সুষমাকে যোগ্যতা অনুসারে ব্যবহার করাই হয়নি। সে কারণেই হয়তো তিনি আর ভোটে লড়েননি। এমন চর্চার কথা অজানা নয় বলেই মোদি নিজের বক্তৃতায় আগেই বলেছিলেন, ‘‘চাপ আসবে জেনেই হয়তো সুষমাজি ভোটে না লড়ার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঘোষণার পর আমি আর বেঙ্কাইয়া নায়ডু  বলেছিলাম, আপনি ভোটে দাঁড়ান। বাকি চিন্তা করবেন না। কিন্তু তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।’’ এ-ও বলেন, ‘‘যে বিদেশ মন্ত্রক শুধু প্রোটোকল, কোট-প্যান্ট-টাই-এ আবদ্ধ থাকে, তার পরিভাষাও বদলে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন নিজের মন থেকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা বলি, অকপটে বলেছিলেন —এ ভাবে হয় না ভাই। আপনি ভাল বক্তা হতে পারেন। কিন্তু এক-এক মঞ্চের এক নিয়ম আছে। সত্যি কথা অকপটে বলতে পারতেন তিনি।’’ এদিন বক্তব্যের শেষে বাঁশুরির মাথায় হাত রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাহলে কী সুষমাকন্যার রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়ে গেল? রাজধানীর রাজনৈতিক অলিন্দে একথাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।