Delhi Violence: দিল্লিজুড়ে দু'দিন ধরে জ্বলল আগুন, বন্ধ্ সিবিএসসি পরীক্ষা, তারই ১০ টি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা
উত্তর পূর্ব দিল্লিতে বিক্ষোভকারী, পুলিশের সংঘর্ষে হেড কনস্টেবেলসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু'শোর বেশি লোক। ১৪৪ ধারা ভেঙে সারাদিন ধরে চলেছে তাণ্ডব। গত শনিবার থেকেই জ্বলছিল ধিকিধিকি আগুন। রবিবার তা কিছুটা ছড়ায়। সোমবার ও মঙ্গলবার তা মাত্রাছাড়া রূপ নেয়। ওলিতেগলিতে ধর্মের ওপর ভিত্তি করে চলেছে বিক্ষোভকারীদের অত্যাচার। যার ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক।
নতুন দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: উত্তর পূর্ব দিল্লিতে (North East Delhi) বিক্ষোভকারী, পুলিশের সংঘর্ষে হেড কনস্টেবেলসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু'শোর বেশি লোক। ১৪৪ ধারা ভেঙে সারাদিন ধরে চলেছে তাণ্ডব। গত শনিবার থেকেই জ্বলছিল ধিকিধিকি আগুন। রবিবার তা কিছুটা ছড়ায়। সোমবার ও মঙ্গলবার তা মাত্রাছাড়া রূপ নেয়। ওলিতেগলিতে ধর্মের ওপর ভিত্তি করে চলেছে বিক্ষোভকারীদের (Protesters) অত্যাচার। যার ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের থেকে হিংসা আড়াল করতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে পুলিশ। সিএএ সমর্থন এবং বিরোধী দলের লড়াইয়ে ভাজনপুরা, জাফরাবাদ, মৌজপুর চৌক, বাবরপুরে হিংসের আগুন জ্বলে ওঠে। বন্দুক উঁচিয়ে চলে পুলিশ নিগ্রহ। নিগৃহীত হয় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষও। অন্যদিকে দেখা যায় পুলিশের যথেচ্ছ অত্যাচারও। গতকাল অজিত দোভাল, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ এসে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পরিদর্শন করেন। আরও পড়ুন, দিল্লিতে হিংসা নিয়ন্ত্রণে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস অমিত শাহর
১০ টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা-
- সংঘর্ষ হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় সেনা ফোর্স নামানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ বার আলোচনায় বসেন।
- সংঘর্ষ চলাকালীন যথেষ্ট পরিমান পুলিশ ছিল না এবং তাদের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল তা ওড়ালো দিল্লি পুলিশ।
- দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মাগান্ধী মেমোরিয়ালে প্রার্থনা করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেন।
- জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনে কিছু মহিলা সিএএ-র বিরোধিতায় ধর্নায় বসে। পুলিশ আটকাতে আসলে তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
- মৌজপুরের বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রা মিছিলে পুলিশদের রাস্তা খালি করে দিতে নির্দেশ দেন।
- বড় কোনও জটলাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কার্ফু জারি রয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ পরিস্থিতিতে শান্ত রাখার অনুরোধ করে।
- ছাত্রছাত্রীরা ভীত হয়ে পড়ায় সিবিএসসি পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়।
- সংঘর্ষে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন অটোচালক শাহিদ (২৬), ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ফুরকান (৩২), মার্কেটিং একজিকিউটিভ রাহুল সোলাঙ্কি (২৬), পুলিশ রতন লাল (৪২)।
- রাজধানীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ র্যাফ নামানো হয়।
- ওইদিনই সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন ধর্মীয় স্বাধীনতাকে উদ্দেশ্য করে। আর তার মাঝেই ঘটে গেল রণক্ষেত্র।