UP Shocker: লাশকাটা ঘরে ৭ ঘণ্টা, ময়নাতদন্তের ঠিক আগেই নড়ে উঠল দেহ!
মর্গের (Morgue) ফ্রিজারে সাত ঘণ্টা ধরে রাখা ছিল এক যুবকের মৃতদেহ। সাত ঘণ্টা পর জানা গেল প্রাণ রয়েছে ওই যুবকের, তাঁর মৃত্যু হয়নি। চমকে উঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাবাদাবাদে (Moradabad)। বৃহস্পতিবার পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জমখ হন শ্রীকেশ কুমার (Srikesh Kumar) নামে ওই ইলেকট্রিশিয়ান। দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরবাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। রাতেই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন শ্রীকেশকে। পরের দিন, হাসপাতালের কর্মীরা মৃতদেহটি মর্গের ফ্রিজারে রাখেন ময়নাতদন্ত করা হবে বলে।
মোরাদাবাদ, ২১ নভেম্বর: মর্গের (Morgue) ফ্রিজারে সাত ঘণ্টা ধরে রাখা ছিল এক যুবকের মৃতদেহ। সাত ঘণ্টা পর জানা গেল প্রাণ রয়েছে ওই যুবকের, তাঁর মৃত্যু হয়নি। চমকে উঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাবাদাবাদে (Moradabad)। বৃহস্পতিবার পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জমখ হন শ্রীকেশ কুমার (Srikesh Kumar) নামে ওই ইলেকট্রিশিয়ান। দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরবাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। রাতেই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন শ্রীকেশকে। পরের দিন, হাসপাতালের কর্মীরা মৃতদেহটি মর্গের ফ্রিজারে রাখেন ময়নাতদন্ত করা হবে বলে।
প্রায় সাত ঘন্টা পরে মৃতদেহ শনাক্তকরণের পর 'পঞ্চনামা'তে স্বাক্ষর করিয়ে পুলিশ যখন মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তখন হঠাৎই মৃতের শ্যালিকা মধু বালা শ্রীকেশের শরীরে প্রাণ থাকার বিষয়টি লক্ষ্য করেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে বালাকে বলতে শোনা যায়, "উনি মোটেও মৃত নন। এটা কী ভাবে হল? দেখুন, তিনি কিছু বলতে চান, তিনি শ্বাস নিচ্ছেন।" সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে ওই ব্যক্তিকে জীবিত বলে ঘোষণা করেন। আরও পড়ুন: TMC Leader Shot Dead At Canning: ক্যানিংয়ে বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু
মোরাদাবাদের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট শিব সিং বলেছেন, "জরুরি মেডিকেল অফিসার রোগীকে রাত ৩টেয় দেখেছিলেন এবং কোনও হৃদস্পন্দন ছিল না। তিনি একাধিকবার লোকটিকে পরীক্ষা করেছিলেন। তারপরেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু, সকালে জানা যায় তিনি জীবিত রয়েছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা তাঁর জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিয়েছি।" সিং আরও জানান যে এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।
জানা গিয়েছে, শ্রীকেশ কুমার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যদিও এখনও জ্ঞান আসেনি। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তারা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবে।