Agra: ১০টি হাসপাতাল ঘুরেও মিলল না চিকিৎসা, মারা গেলেন করোনা রোগী

কোথাও বেড নেই তো কোথাও অক্সিজেন নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশায় বেঘোরে চলে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। আজই আগ্রার (Agra) ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। করোনা আক্রান্ত (COVID19) এক মহিলাকে নিয়ে ১০টি হাসপাতালে ঘুরেও মিলল না বেড। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে এ হাসপাতাল, সে হাসপাতাল ঘুরে প্রতিটি হাসপাতালই ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরেই মারা যান করোনা আক্রান্ত আকাশ ও নেহা যাদবের মা।

ছবিটি প্রতীকী

আগ্রা, ২৪ এপ্রিল: কোথাও বেড নেই তো কোথাও অক্সিজেন নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশায় বেঘোরে চলে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। আজই আগ্রার (Agra) ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। করোনা আক্রান্ত (COVID19) এক মহিলাকে নিয়ে ১০টি হাসপাতালে ঘুরেও মিলল না বেড। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে এ হাসপাতাল, সে হাসপাতাল ঘুরে প্রতিটি হাসপাতালই ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বাইরেই মারা যান করোনা আক্রান্ত আকাশ ও নেহা যাদবের মা।

খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহেই আকাশ ও তাঁর পুরো পরিবার করোনায় আক্রান্ত হন। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের লিনেপাড়ের বাসিন্দা তাঁরা। বাবা রাকেশ যাদবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ এপ্রিল আকাশের মা সীমা দেবীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাকেশবাবু যে হাসপাতালে ভর্তি সেখানে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হলে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আরও ৯টি হাসপাতালে গিয়ে একই অবস্থায় ভর্তি করানো যায়নি। আরও পড়ুন, ৪৫ বছর বা তার ঊর্ধ্ব কর্মচারীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের

২২ এপ্রিলই চিকিৎসার অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর দেহ সৎকার করার জন্য স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসককে ফোন করা হয়। এরপর তাঁরা এসে মৃতদেহ নিয়ে যায় এবং দেহটির সৎকার করে। ক্যাশ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানান, "অক্সিজেন আর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। মাকে ৫ ঘণ্টা ধরে চোখের সামনে মরে যেতে দেখলাম। আর যেন কাউকে আমার মায়ের মতো কষ্ট পেতে না হয়।"