Indore Lok Sabha: খোল খোল দোর! ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী হতে চেয়ে আদালতে মোতি প্যাটেল
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে ইন্দোরে বিজেপি কার্যত ওয়াকওভার পেয়ে যায়।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে ইন্দোরে বিজেপি কার্যত ওয়াকওভার পেয়ে যায়। গুজরাটের সুরাটে কংগ্রেস প্রার্থী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় (সরকারীভাবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ায়) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেখানে জিতে সাংসদ হয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। কিন্তু সুরাটের মত ইন্দোরে খেলা শেষ হয়নি। অন্তত ইন্দোরের কংগ্রেস নেতারা একটা শেষ চেষ্টা করছে। ইন্দোরের নেতা মোতি সিং প্যাটেল ভোটে লড়তে চেয়ে আদালকতের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর দাবি তিনি অক্ষয় কান্তি বামের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ছিলেন। তাই অক্ষয় বাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তাঁকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়ার অধিকার দিক আদালত।
কংগ্রেস তাঁর নাম আনুষ্ঠনিকভাবে ইন্দোর লোকসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করুক, এমনটাও দাবি করেছেন মোতি প্যাটেল। চতুর্থ দফায় ১৩ মে ইন্দোরে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। এবার ইন্দোরে প্রার্থী বিজেপির শঙ্কর লালওয়ানি। মায়াবতীর বিএসপি এই কেন্দ্রে সঞ্জয় সোলাঙ্কিকে প্রার্থী করেছে।
দেখুন ভিডিয়ো
কয়েক মাস আগে কমননাথের নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরের অবস্থা কাহিল। অথচ একটা সময় মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-কে প্রায় ব্যাকফুটেই ঠেলে দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগের ধাক্কা কংগ্রেস আর কাটিয়ে উঠতে পারল না। ভোটে ভরাডুবির পর কমলনাথ নিজেই বিজেপি-র দিকে এক পা বাড়িয়ে ছিলেন। যে ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন, সেটা খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারি-র এলাকা। এটাতেই পরিষ্কার মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরের দৈনতা ঠিক কতটা গভীর।
সেখানে ২০১৯ লোকসভায় বিজেপির শঙ্কর লালওয়ানি সাড়ে ১০ লক্ষ ভোট পেয়েছিলেন। গতবার বিজেপির লালওয়ানি প্রায় ৫ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের পঙ্কজ সাঙ্কভি-কে। এই ইন্দোর থেকে টানা আটবার সাংসদ ছিলেন বিজেপি নেতী সুমিত্রা মহাজন। ২০১৯ সালে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের পরিবর্তে লালওয়ানবি-কে দাঁড় করায় বিজেপি। শেষবার ইন্দোরে কংগ্রেস জিতেছিলেন সেই ১৯৮৪ লোকসভায়।