মিড ডে মিলে ছাত্রদের জন্যে রান্নার দায়িত্ব পড়ুয়াদের মায়েদের হাতে তুলে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে ছত্তিশগড়ের স্কুল

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝেমাঝেই আসে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে নানা বিস্ফোরক। কখনও অত্যন্ত নিম্নমানের চাল, তো কখনও শুধু নুন দিয়ে রুটি। কখনও আবার মিড ডে মিল খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। বিহার থেকে বাংলা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের ছবি। (Photo Credit: Wikimedia Commons)

রায়পুর (ছত্তিশগড়), ১৭ অক্টোবর:  Mid-Day Meal Scheme- দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝেমাঝেই আসে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে নানা বিস্ফোরক। কখনও অত্যন্ত নিম্নমানের চাল, তো কখনও শুধু নুন দিয়ে রুটি। কখনও আবার মিড ডে মিল খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। বিহার থেকে বাংলা। ঝাড়খণ্ড থেকে উত্তর প্রদেশ। নানা সময় কাঠগড়ায় উঠেছে মিড ডে মিলের মান। এবার মিড ডে মিল নিয়ে স্বচ্ছতা আনতে অভিনব উদ্যোগ নিল ছত্তিশগড়ের এক স্কুল। ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুর থেকে ৬০ কিমি দূরে সালহি নামের এক স্কুলের মিড ডে মিল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের। তাতে খারাপমানের খাবারের অভিযোগ উঠবে না। কারণ নিজেদের সন্তানদের তো কেউ আর খারাপ খাবার দেবেন না।

স্কুলের পড়ুয়াদের ১২জন মা তৈরি করছেন মিড ডে মিল। ১২ মাসের চুক্তিতে তাদের মিড ডে মিল শাকসব্জি কাটা, রান্না,  এবং খাবার পরিবেশনের জন্য রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জারি সতর্কতা, অযোধ্যায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

পড়ুয়াদের মা-রা যদি মিড ডে মিল রান্না করেন, তাহলে সেখানে খারাপ রান্নার কোনও প্রশ্নই উঠবে না। পড়ুয়াদের বাবা-রা কিনে এনে দিচ্ছেন, চাল-ডাল সহ মিড ডে মিলের যাবতীয় জিনিস। ছত্তিশগড়ে এই স্কুলের মিড ডে মিলে খাওয়ানো হয় ডালিয়া, মিষ্টি হালুয়া, পোহা বা উপমা সঙ্গে ব্রেকফাস্টে দুধ। বেশ কিছু দিনে পড়ুয়ারা নিজেরাই বলে দেয়, তারা কী খাবে, সেই মত হয় মিড ডে মিলের রান্না। পডুয়াদের মা-রা রান্না করায় শাকসব্জী কাটা, পরিষ্কার পরিচ্ছনতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠছে না। এই পরিকল্পনায় মহিলাদের রোজগারের দিকটাও নিশ্চিত হয়েছে। এমন কর্মসূচির ফলে ড্রপ আউটের সংখ্যা কমছে এবং স্কুলে যোগদানের সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে খবর।