Mercy-Killing: ৯ বছরের ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে আবেদন মায়ের, আদালত থেকে ফেরার পথে হল মৃত্যু

মৃত্যু সত্যিই বড় বেদনার। কখনও কখনও হয়তো শান্তির। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু মনে হয় বেদনা, শান্তি, কষ্ট, কান্না সব একসঙ্গে দিয়ে যায়। এই যেমন অন্ধ্রপ্রদেশের ৯ বছরের ছোট্ট হর্ষবর্ধনের সঙ্গে যা হল।

হায়দরাবাদ, ২ জুন: মৃত্যু সত্যিই বড় বেদনার। কখনও কখনও হয়তো শান্তির। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু মনে হয় বেদনা, শান্তি, কষ্ট, কান্না সব একসঙ্গে দিয়ে যায়। এই যেমন অন্ধ্রপ্রদেশের ৯ বছরের ছোট্ট হর্ষবর্ধনের সঙ্গে যা হল। অতি জটিল শারীরিক অবস্থার কারণে ৯ বছরের ছেলেটা এত কষ্ট পাচ্ছিল,যে ওর মা-বাবা পর্যন্ত চাইছিল মৃত্যুতেই ওর কষ্টমুক্ত হোক। ডাক্তাররা সাফ বলে দিয়েছিলেন, হর্ষবর্ধনের যে রোগ হয়েছে তা কখনই সারানো যাবে না, যতদিন বাঁচবে ওকে এই কষ্ট ভোগ করতে হবে। এদিকে, ৯ বছরের ছেলেটার শারীরিক কষ্ট ওর বাবা-মা আর সহ্য করতে পারছিল না। অর্থাভাবে আর বড় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিল না। আরও পড়ুন: Chetan Cheetah: জঙ্গির বুলেটকে হেলায় হারিয়েছেন, করোনায় আশঙ্কাজনক জওয়ান

চোখে জল নিয়েই তারা ডাক্তারকে বলেছিল, হর্ষবর্ধনকে যেন মেরে ফেলা হয়। ডাক্তাররা এই বিষয়ে তাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে বলেন। সেই অসুস্থ ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর (Mercy-Killing) আবেদন করে পুনগানুরের সিভিল কোর্টে হাজির হয় তার বাবা-মা। ছেলেটির নাক দিয়ে ক্রমাগত রক্ত ঝরে, আর অসম্ভব যন্ত্রণা। এই রোগের কোনও ওষুধ হয় না। শুধু যন্ত্রণা সহ্য করে যাওয়া, আর রক্ত দিয়ে যাওয়া ছাড়া। সেই কথাই লিখিতভাবে ডাক্তারের সব কথা সহ আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে জানান তাঁরা। সঙ্গে অসুস্থ ছেলেটাকেও তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন, যদি বিচারকের নিজে চোখে দেখে মায়া হয়, আর স্বেচ্ছামৃত্যুতে আদালতের সায় মেলে।

আদালতে ৯ বছরের ছেলের স্বেচ্ছা মৃত্যুর পিটিশন জমা দিয়ে ছেলেকে কোলে করে অটোতে তুলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু যে স্বেছা মৃত্যুর খোঁজে আদালতের দ্বারে ছোটা, সেই মৃত্যু আদালতের অপেক্ষায় না থেকে স্বেচ্ছায় এসে ধরা দিল। অটোতেই বাবা-মায়ের কোলে মারা গেল ৯ বছরের হর্ষবর্ধন। ছেলের চিকিৎসার জন্য তারা নানা জায়গায় গিয়েছিলেন। ভেলোরেও চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু কোনও জায়গাতে গিয়েই কোনও ফল হয়নি। শেষের দিকে অর্থাভাবে আর বড় কোনও হাসপাতালে যেতে পারেননি তারা। শোনা যাচ্ছে বছর চারেক আগে ছেলেটি একটি গুরুতর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তারপর থেকে তার নাক থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে। আর শরীর জুড়ে যন্ত্রণা। চার বছরের যন্ত্রণার শেষটা হল সবার চোখে জল এনে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now