ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের 'সন্ত'উপাধি কাড়া হচ্ছে
ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ (Chinmayanand)-এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিতে চলেছে অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদ (ABAP)। চিন্ময়ানন্দের 'সেন্ট' বা 'সন্ত'তকমা কেড়ে নেওয়া হতে চলেছে। চিন্ময়ানন্দ যা করেছেন তা কোনও সাধু বা সন্ত মানুষ কখনই করতে পারে না বলে, তার এই তকমা কেড়ে নেওয়া হল।
ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ (Chinmayanand)-এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিতে চলেছে অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদ (ABAP)। চিন্ময়ানন্দের 'সেন্ট' বা 'সন্ত'তকমা কেড়ে নেওয়া হতে চলেছে। চিন্ময়ানন্দ যা করেছেন তা কোনও সাধু বা সন্ত মানুষ কখনই করতে পারেন না বলে, শাস্তি হিসাবে তার এই তকমা কেড়ে নেওয়া হতে। এই শাস্তি কার্যকর হলে আর কখনই চিন্ময়ানন্দকে 'স্বামী'বা সন্ত বলা যাবে না। অখিল ভারতীয় আখরা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী বেশ অনেকগুলো ধাপ পেরিয়েই সন্ত উপাধি পাওয়া যায়।
আগামী ১০ অক্টোবর হরিদ্বারে অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদের সভায় জেনারেল বডি-তে শাস্তির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকভাবে চিন্ময়ানন্দের 'সন্ত'তকমা কাড়ার কথা ঘোষণা করা হতে পারে । অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদের সভাপতি মহেন্দ্র নরেন্দ্র গিরি জানান, '' চিন্ময়ানন্দ তার ভুল শিকার করার পর সন্ত সমাজকে লজ্জায় ফেলেছেন। আদালতে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে তাকে নির্বাসিত থাকতে হবে। ৭৩ বছরের চিন্ময়ানন্দ এখন মহা নির্বানি আখারা-র মহামণ্ডেলশ্বর। আরও পড়ুন- যৌন হেনস্থা, যৌনগন্ধী বার্তালাপ ও বডি ম্যাসাজের অভিযোগ মেনে নিলেন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ
আইন পড়ুয়া তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালেই গ্রেপ্তার হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন উত্তেজক বার্তালাপ-সহ বডি ম্যাসাজ ও ধর্ষণ হেনস্তা, ব্ল্যাকমেলিংয়ের যাবতীয় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন চিন্ময়ানন্দ। গ্রেপ্তারির পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বলেন তদন্তকারী দলের প্রধান নবীন অরোর। এরপরেই যাবতীয় তথ্যাদি মেলানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। নবীন অরোরা আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারির পর নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত চিন্ময়ানন্দ এসব নিয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি। এই ঘটনায় বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী চিন্ময়ানন্দকে। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, চিন্ময়ানন্দকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে 'ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌনসঙ্গম'-এর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ও আর্থিক জরিমানা হতে পারে তাঁর। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক বছর ধরে কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীকে নানা ভাবে নিগ্রহ করেছেন তিনি। তরুণীর স্নান করার দৃশ্যের ভিডিও তুলে, হুমকি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন তিনি। এর পরেই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন ওই তরুণী। অভিযোগ জানান পুলিশে। ফেসবুকে ভিডিও করে জানান ঘটনার কথা। তার পরেই আচমকা অপহৃত হন তিনি। ছ’দিন পরে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে।