Biplab Deb: ত্রিপুরায় গদিবদলে 'ড্যামেজ কন্ট্রোল'! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী-র ফেলে আসা রাজ্যসভার টিকিট দিল বিজেপি

মাস চারেক আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Biplab Kumar Deb (Photo Credits: Twitter/BiplabKumarDeb/)

নতুন দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: মাস চারেক আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিপ্লবের জায়গায় ত্রিপুরার মসনদে বসানো হয়েছিল মানিক সাহা-কে। মুখে সহযোগিতার বার্তা দিলেও বিপ্লবের মনে ছিল ক্ষোভ ছিল, তা বুঝতে পেরেছিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। আর তাই তাঁকে 'সান্ত্বনা' পুরস্কারে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে দল। ভারতীয় রাজনীতিতে যেটা বহুদিনের রীতি। ক্ষুব্ধ নেতাদের শান্ত করতে রাজ্যসভা বা বয়স হয়ে গেলে রাজ্যপাল পদে মনোনিত করা হয়। ত্রিপুরায় ক দিন পরেই রাজ্যের একটি রাজ্যসভা আসনের জন্য নির্বাচন। আসনটি ফাঁকা হয় নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিধানসভায় জেতায়।

মানিকের ছেড়ে আসা আসনে এবার বিপ্লবে পাঠানো হচ্ছে। আসন বদল যাকে বলে। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি-র কাছে আছে ৩৬জন বিধায়ক ও সহযোগী দল IPFT-র কাছে আছে ৮ বিধায়ক। ফলে বিপ্লবের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এরপরেও বিজেপি-কে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ বামেরা এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে। রাজ্যসভা ভোটে বিপ্লবের বিরুদ্ধে বাম প্রার্থী হিসেনে দাঁড় করানো হয়েছে ভানুলাল সাহা-কে। কংগ্রেস সহ সব বিরোধীরা যাতে ভানুলাল সাহা-কে ভোট দেন তার আবেদনও করেছে বামেরা।

ত্রিপুরায় প্রথমবার পদ্ম ফোটানোর তিনিই ছিলেন বড় নায়ক। পুরস্কার হিসেবে অনেক কম বয়সী বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেন নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহ। কিন্তু অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেও বিপ্লবকে সরানো হয়নি। তবে ত্রিপুরায় ভোটের বছর খানেক আগে আচমকাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিপ্লব কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে সরার পরেও সরকারী বাঙলো ছাড়েননি। একটা সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ হলেও মানিক সাহা-র সঙ্গে দূরত্ব রাখতে শুরু করেছিলেন বিপ্লব। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানিক বনাম বিপ্লব শুরু হলে ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হবে, এটা বুঝতে পেরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিপ্লব-কে দিল্লিতে পাঠিয়ে মানিককে ত্রিপুরার দায়িত্ব পুরোপুরি ভাবে দিয়ে দিল।

গতকালই বিপ্লব দেবকে হরিয়ানার দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। এরপর আবার রাজ্যসভার টিকিট দিয়ে বিপ্লব ক্ষোভ পুরোপুরি থামিয়ে দেওয়া গেল বিজেপি-র দাবি। রাজ্যসভার টিকিট পেয়ে বিপ্লব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, "দল যা দায়িত্ব দেবে পালন করবে। আমার দায়িত্ব হল ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন বিজেপি-র শাসন বজায় রাখা।"

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now