Bengaluru Murder: মাকে খুন করে পুরুষসঙ্গীকে নিয়ে বিমানে আন্দামান পালালেন মহিলা

মাকে ছুরি দিয়ে খুন। ভাইয়ের মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে আন্দামানগামী বিমানে বসে পালাতে যান মহিলা। তবে পুলিশ ঐ মহিলা এবং তার পুরুষ বন্ধুকে ধরেও ফেলে। পুলিশ তড়িঘড়ি তাদের ধরে ফেলে। যতক্ষণে তাদের ধরা হয় ততক্ষণে আন্দামান পৌঁছে যান তারা।

Image used for representational purpose only | (Photo Credits: PTI)

বেঙ্গালুরু, ৬ ফেব্রুয়ারি: মাকে ছুরি দিয়ে খুন। ভাইয়ের মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে আন্দামানগামী বিমানে বসে পালাতে যান মহিলা। তবে পুলিশ ঐ মহিলা এবং তার পুরুষ বন্ধুকে ধরেও ফেলে। পুলিশ তড়িঘড়ি তাদের ধরে ফেলে। যতক্ষণে তাদের ধরা হয় ততক্ষণে আন্দামান পৌঁছে যান তারা।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ৩৩ বছর বয়সী অমৃতা চন্দ্রশেখর এক জন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তিনি বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা। তাঁর ভাই হরিশ দাবি করেছেন, অমৃতা বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে হায়দরাবাদে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাই তাকে চলে যেতে হবে। এর পর গত সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ তিনি তাঁর দিদিকে নিজের জামা কাপড় গুছিয়ে দেন। হরিশের দাবি, তিনি সাহায্য করতে চাইলেও রাজি হননি অমৃতা। হরিশের অভিযোগ, এর পরই তাঁর উপর একটি রড নিয়ে চড়াও হন অমৃতা। হরিশ চিৎকার করলে ছুটে আসেন তাঁদের মা-ও। সেই মুহূর্তে ভাইকে ছেড়ে, একটি ছুরি হাতে মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অমৃতা। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান তিনি। এর পর তাঁদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অমৃতা। আরও পড়ুন, জামিনে ছাড়া পেলেন শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত পিটার মুখার্জি

টের ভাই আরও জানিয়েছেন, অমৃতার বন্ধু শ্রীধর রাও বাইক নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। সেই গাড়িতে চড়েই পালান তারা। হরিশ জখম অবস্থাতেই আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মা-কে বাঁচাতে পারেননি তিনি। অমৃতা ও তাঁর পুরুষসঙ্গী শ্রীধরের খোঁজ পেয়ে পোর্টব্লেয়ার যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।