Jyoti Malhotra's Connection With Pak Official: দেশের সঙ্গেই 'গদ্দারি', পহেলগাম হামলার আগে পাক অফিসিয়ালের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ, জেরায় স্বীকার গুপ্তচরের
জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারির পর থেকে তাকে একটানা জেরা করছে হরিয়ানা পুলিশ। সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এনআইএ এবং আইবির গোয়েন্দা আধিকারিকরা। পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স অপারেটিভসের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রা কীভাবে যোগাযোগ করত এবং কোন ভাষায় তাদের কথা হত, তা নিয়ে একসঙ্গে চলছে প্রশ্ন।
দিল্লি, ২১ মে: পাকিস্তানি হাই কমিশনের (Pakistan) যে দফতর রয়েছে দিল্লিতে (Delhi), সেখানকার এক আধিকারিকের সঙ্গে তার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। একটানা জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করল পাক চর জ্যোতি মালহোত্রা (Pakistani Spy Jyoti Malhotra)। হিসার পুলিশের মুখপাত্র বিকাশ কুমার জানান, দিল্লির পাক হাইকমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রার সব সময় যোগাযোগ ছিল। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ক্রমাগত দানিশের সঙ্গে জ্যোতির কথাবার্তা হত বলে জেরায় হরিয়ানার ওই ইউটিউবার স্বীকার করেছে।
দানিশই জ্যোতি মালহোত্রার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। দানিশের হস্তক্ষেপেই জ্যোতি মালহোত্রা একজন সুনিপুণ পাক চর হয়ে ওঠে ভারতের মাটিতে থেকে। এমনই মনে করছেন পুলিশ এবং গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের নারকীয় হামলার আগেও জ্যোতি মালহোত্রা পাক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে।
২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দানিশের সঙ্গে জ্যোতির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে সে স্বীকার করে নিয়েছে। জ্যোতির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ইউটিউবার এবং ইনফ্লুয়েন্সারের যোগাযোগ ছিল। জ্যোতির কাছ থেকে যে ৩টি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে, তা থেকেও একাধিক তথ্য মিলছে। জ্যোতির ৩টি মোবাইলের মধ্যে থকেে ২টিতে হরিয়ানা শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির আইটি ইনচার্জ হরকিরাট সিংয়ের নম্বরও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। ফলে মোবাইল এবং ল্যাপটপের ফরেন্সিক পরীক্ষা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারির পর থেকে তাকে একটানা জেরা করছে হরিয়ানা পুলিশ। সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এনআইএ এবং আইবির গোয়েন্দা আধিকারিকরা। পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স অপারেটিভসের সঙ্গে জ্যোতি মালহোত্রা কীভাবে যোগাযোগ করত এবং কোন ভাষায় তাদের কথা হত, তা নিয়ে একসঙ্গে চলছে প্রশ্ন।
জ্যোতির আর্থিক লেনদেনের উপর নজর
গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, জ্যোতি মালহোত্রার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আর্থিক লেনদেন হয়। ফলে জ্যোতির অ্যাকাউন্টগুলিতে কোন কোন জায়গা থেকে আর্থিকলেনদেন হয়েছে, তাও পূর্ণাঙ্গরূপে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
কোথায় কোথায় গিয়েছে জ্যোতি
জানা যায়, ২০১৮ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দুবাই, চিন, ভূটান, নেপালের মত দেশগুলিতে ঘুরেছে জ্যোতি মালহোত্রা। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াতেও গিয়েছে জ্যোতি। পাকিস্তান, চিনের পাশাপাশি জ্যোতি আর যে দেশগুলিতে গিয়েছে, তাও কি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার কথাতেই, সে বিষয়েও জোর কদমে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)