Assam: লকডাউনে বান্ধবীর জন্মদিনে যেতে জেলা প্রশাসক সেজে রওনা, শ্রীঘরে প্রেমিক
ভালোবাসায় কী না করা যায়। করোনা পরিস্থিতিতে অসমে চলছে লকডাউন। এমন সময়ে বান্ধবীর জন্মদিন পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন ব্যক্তি। তাই উপায় না পেয়ে জেলা প্রশাসক সেজে লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুঃসাহস করে ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের যোরহাটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজ্যোতি দত্ত ওরফে মাধুর্য্য বোরা। যোরহাটের তিতাবরীর কাঁহারগাঁও বাসিন্দা ব্যক্তি। বান্ধবীর জন্মদিন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সেজে না আলি ঢেকিয়াজুলি যাচ্ছিলেন তিনি।
যোরহাট, ২১ মে: ভালোবাসায় কী না করা যায়। করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে অসমে (Assam) চলছে লকডাউন (Lockdown)। এমন সময়ে বান্ধবীর জন্মদিন পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন ব্যক্তি। তাই উপায় না পেয়ে জেলা প্রশাসক সেজে লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুঃসাহস করে ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের যোরহাটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজ্যোতি দত্ত ওরফে মাধুর্য্য বোরা। যোরহাটের তিতাবরের কাঁহারগাঁও-র বাসিন্দা ব্যক্তি। বান্ধবীর জন্মদিন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সেজে না আলি ঢেকিয়াজুলি যাচ্ছিলেন তিনি।
বান্ধবীর জন্মদিনে যেতে এতই মরিয়া হয়ে ওঠেন যে তিনি একটি গাড়িই ভাড়া করে নেন। এক চালককেও নিযুক্ত করেন। গাড়ির সামনে জেলা প্রশাসকের কাগজ লাগিয়ে ভাড়া গাড়ি, চালককে নিয়ে বান্ধবীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার আগে পুলিশ স্টেশনে যান তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে সেলফিও তোলেন। সেলফি তোলার পিছনে কী কারণ তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানায়, "বিশ্বজ্যোতি দত্ত ডিএম সেজে পুলিশ স্টেশনের সামনে ছবি তোলেন। তিনি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত তা সত্য প্রমাণ করার জন্যই এই কাজ করেন। যাতে লকডাউনেও বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন। লকডাউনে কোনও দোকানদার নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের থেকে জোর করে অর্থ আদায়ের চেষ্টাতেও ছিলেন।" গত ১৯ মে তাঁকে শ্রীঘরে পাঠায় পুলিশ। তাঁর চালককেও গ্রেফতার করা হয়। আরও পড়ুন, দেশে এই প্রথম, কোভিডে মৃত মহিলার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি
তিতাবরের জেলা প্রশাসকের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অপরাধে হেফাজতে রাখা হয় তাঁকে। আপাতত চিনামারা পুলিশের অধীনে তিনি হেফাজতে রয়েছেন। জানা যায়, একবার নয়, এর আগে বহুবার তিনি মিথ্যে পরিচয় ধারণ করেছিলেন। দেশজুড়ে যখন লকডাউন হয়ে পড়ে তখন তিনি চিকিৎসক সেজে অসৎ উপায়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। একবার আইনজীবীও সেজেছিলেন তিনি।