Safoora Zargar Got Bail: দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত গর্ভবতী সাফুরা জারগরকে মানবিক ভিত্তিতে জামিন দিল হাইকোর্ট
দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত সাফুরা জারগরকে মানবিক ভিত্তিতে জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন ফেব্রুয়ারিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে ১০ এপ্রিল সাফুরা জারগরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে পরে জামিনও দেওয়া হয়েছিল তবে আরও গুরুতর অভিযোগ এনে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাফুরার গ্রেফতারিতে জেলে পড়ুয়াদের ওপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান বহু মানুষ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে ধিক্কার ওঠে।
নতুন দিল্লি, ২৩ জুন: দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত সাফুরা জারগরকে (Safoora Zargar) মানবিক ভিত্তিতে জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন ফেব্রুয়ারিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে ১০ এপ্রিল সাফুরা জারগরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে পরে জামিনও দেওয়া হয়েছিল তবে আরও গুরুতর অভিযোগ এনে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাফুরার গ্রেফতারিতে জেলে পড়ুয়াদের ওপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান বহু মানুষ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে ধিক্কার ওঠে।
২৭ বছর বয়সী সাফুরা, ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। পুলিশের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা মানবিক কারণে তার জামিনের বিরোধিতা করেননি। তিনি জানান, মানবিক কারণে নিয়মিত জামিনে তাঁকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে তবে মামলার যোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং এর নজির করা উচিত হয়নি।পুলিশ জানিয়েছে, সাফুরাকে জেলে একটি আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছিল এবং অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কমই ছিল।
অনুমতি ছাড়া সাফুরা দিল্লি ছাড়তে পারবেন না বলে যাননি আদালত। ১৫ দিনের মধ্যে একবার ফোনে তদন্তকারী কর্মকর্তার সংস্পর্শে থাকতে হবে এবং ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডও দিতে হবে। সোমবার, দিল্লি পুলিশ অবশ্য সাফুরা জারগারের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, “সাফুরার গর্ভধারণের সত্যতা দিয়ে তাঁর অপরাধের তীব্রতা কোনওভাবেই হ্রাস করা যাবে না।" আরও পড়ুন, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুনের পর কলকাতায় শাশুড়িকে গুলি করে আত্মঘাতী জামাই, ফুলবাগানে চাঞ্চল্য
সাফুরা জারগরকে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার হওয়ার পরে জামিন পেয়েছিলেন। তবে পরে তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয় এবং জামিয়া সমন্বয় কমিটি জানায় সাফুরার ওপরে আরও গুরুতর অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা তৈরি করতে জাফরাবাদের জনগণকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া এবং মহিলা ও শিশুদের রাস্তায় আনার অভিযোগ ছিল।