Bihar: ৪ বছর আগে পণের জন্য স্বামীর হাতে খুন হওয়া গৃহবধূ ফিরলেন বাড়িতে

চার বছর পর জীবিতাবস্থায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিহারের (Bihar) এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর নাম রুকশানা খাতুন। বাপের বাড়ি কার্গাহারে বেড়াতে আসার অপরাধে তাঁকে অপহরণ করে খুন করেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে খালিদ আনসারির সঙ্গে রুকশানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের চার সন্তানও রয়েছে। ২০১৭ সালে ৫ বছরের নাবালক পুত্র-সহ নিখোঁজ হয়ে যান ওই গৃহবধূ। যদিও তিনি একাই ফিরে এসেছেন বাড়িতে।

বিহারের পুলিশ (Representational Image/ Photo Credits: PTI)

রোহতাস, ৯ মার্চ: চার বছর পর জীবিতাবস্থায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিহারের (Bihar) এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর নাম রুকশানা খাতুন। বাপের বাড়ি কার্গাহারে বেড়াতে আসার অপরাধে তাঁকে অপহরণ করে খুন করেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে খালিদ আনসারির সঙ্গে রুকশানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের চার সন্তানও রয়েছে। ২০১৭ সালে ৫ বছরের নাবালক পুত্র-সহ নিখোঁজ হয়ে যান ওই গৃহবধূ। যদিও তিনি একাই ফিরে এসেছেন বাড়িতে। নিখোঁজ হওয়ার সময় তিন সন্তানকে বাড়িতেই রেখে যান রুকশানা খাতুন।

হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে যখন রুকশানা নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তখন পণের জন্য মারধর এবং অপহরণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের হল রুকশানার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীর বিরুদ্ধে। থানায় এফআইআর করলেন রুকশানার বাবা আশরাফ আলি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ –এ, ৩৬৪ ও ১২০ র বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই অভিযুক্তের নামের তালিকায় রয়েছেন রুকশানার স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও ননদ। এখনও সাসারাম আদালতে মামলাটি ঝুলে রয়েছে। রুকশানার নিরুদ্দেশের ২ বছরের মাথায় অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন তাঁর স্বামী। যদিও দ্বিতীয় স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশর অনুমতি দেননি রুকশানার শাশুড়ি ও ননদ। আরও পড়ুন-Strand Road Fire: পূর্ব রেলের দপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কী নিছকই দুর্ঘটনা? উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ রেলমন্ত্রকের

এই প্রসহ্গে রুকশানার স্বামীর দাদা গফ্ফার আনসারি জানান, ওই মহিলার জন্য আমাদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। অপমান, লাঞ্ছনা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। এরপরেই রুকশানার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এমনকী স্ত্রী বেঁচে থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে আইনত অপরাধ।