COVID-19 New Strain: করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে, দেশে মোট আক্রান্ত ৫৮
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজাতির হানায় আক্রান্ত ব্রিটেন। ভারতেও ক্রমশ ছড়াচ্ছে SARS-CoV-2-র প্রভাব। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫৮ জন নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যে এই সমস্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যবিভাগ চিহ্নিত করা হবে। চিহ্নিত নির্দিষ্ট আইসোলেশন রুমেই করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে। করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সহযাত্রী, পরিবারের সদস্যদের শনাক্ত করে যথাযথ পরক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি: সম্প্রতি করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজাতির হানায় আক্রান্ত ব্রিটেন। ভারতেও ক্রমশ ছড়াচ্ছে SARS-CoV-2-র প্রভাব। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫৮ জন নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যে এই সমস্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যবিভাগ চিহ্নিত করা হবে। চিহ্নিত নির্দিষ্ট আইসোলেশন রুমেই করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে। করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সহযাত্রী, পরিবারের সদস্যদের শনাক্ত করে যথাযথ পরক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (NCDC)-ই প্রথম করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেনটি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এনসিডিসি ছাড়াও দিল্লির আইজিআইবি, কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োকেমিকেল জেনোমিকস, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিত এবং হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মড্যুলার বায়োলজিতেও করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আরও পড়ুন: New COVID-19 Strain Fear: করোনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্ক, পাটনায় নিখোঁজ ইংল্যান্ড ফেরত ১৯ জন
ভারত ছাড়াও করোনাভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির দেখা মিলেছে ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইটালি, সুইডেন, ফ্রান্স, স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, জাপান, লেবানন এবং সিঙ্গাপুরে। শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ২৭ হাজার করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে যখন এ দেশে কোভিডের সংক্রমণে শীর্ষে উঠেছিল সেই সময়ের থেকে এখনও অন্তত আরও ৪০ শতাংশ রোগী বেশি রয়েছে। আগেই জানানো হয়েছে যে লকডাউনে চলে গিয়েছে স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ডের আরও দুই দেশে ওয়েলস ও উত্ত্র আয়ার্ল্যান্ডে আগে থেকেই লকডাউন চলছে। গত সপ্তাহে দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে করোনার মৃত্যু মিছিল। এই করোনার নতুন প্রজাতিকে রুখতে সরকার ও প্রশাসনের তরফে যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশবাসীকেও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ভাইরাসকে রুখতে আমাদের জাতীয় লকডাউনে যেতে হচ্ছে। যার অর্থ সরকার ফের একবার সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে।