উত্তরপ্রদেশে চার দিনের শিশুর মৃত্য়ুতে কাঠগড়ায় যোগী আদিত্যনাথের সরকার, তিন ঘণ্টার অবহেলায় প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে ফের কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। স্বাস্থ্য বিভাগের গাফলতিতে চার দিনের এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে।

কাঠগড়ায় যোগি সরকার। | File Image | (Photo Credits: PTI)

বারেলি, ২০ জুন: স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে ফের কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকার। স্বাস্থ্য বিভাগের গাফলতিতে চার দিনের এক শিশু কন্যার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা সেই চারদিনের শিশুটিকে কোনও বিভাগে ভর্তি করা হবে, সেই সিদ্ধান্তটা নিতে সরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তিন ঘণ্টা লেগে যাওয়ায়, শিশুটা মারা যায়।

এখানেই কাঠগড়ায় উঠেছে যোগীর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশার ছবি। মৃত চার দিনের শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল উর্বশীর। ফুটফুটে উবর্শীর মৃত্যু দেখিয়ে দিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার খারাপ অবস্থার ছবিটা। আরও পড়ুন-দুধের শিশুকে ধর্ষণ করতে না পেরে গলা টিপে খুন প্রতিবেশীর

গত ১৫ জুন পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে জন্ম হয়েছিল উর্বশীর। শিশুটির বাবা কৃষক। বুধবার সকালে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন উদ্বিগ্ন বাবা, মা শিশুটিকে নিয়ে ছুটে আসেন বরেলী শহরের ওই সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতালের কোনও বিভাগেই তাকে ভর্তি করা হয়নি, কারণ সব বিভাগই দায় এড়িয়ে অন্য বিভাগে পাঠাতে থাকে। এ বিভাগ ও বিভাগ ঘুরতে ঘুরতে মৃত্যু হয় শিশুটির। বিতর্কের পর ওই হাসপাতালের একটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্য বিভাগের অফিসার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। গত কাল রাতেই টুইট করে তাঁর সরকারের কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সময় হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে যে চিকিৎসকের ডিউটি ছিল, সেই কমলেন্দ্র স্বরূপ গুপ্তা শিশুটিকে পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন, তাঁর অন্য কাজ রয়েছে, এই অজুহাতে। বলেন, শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের মহিলা বিভাগে যেতে। এর পরেই শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা, মা ছুটে যান হাসপাতালের একই কমপ্লেক্সে থাকা মহিলা বিভাগে। সেখানে যে মেডিক্যাল অফিসার দায়িত্বে ছিলেন, সেই মহিলা চিকিৎসক অলকা শর্মা জানান, শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত বেড নেই তাঁর বিভাগে। শিশুটিকে তিনি আবার পুরুষ বিভাগেই নিয়ে যেতে বলেন তার বাবা, মাকে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now