West Bengal: টলি পাড়ার কলাকুশলীদের করোনা বীমার সমস্যা মেটেনি, বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং আপাতত অথৈ জলে

লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন শুটিং বন্ধ টলিপাড়ায়। তাই টিভি খুললে এখন চলছে পুরনো ধারাবাহিক ও রিক্যাপ। আনলক-১ এর পর রীতিমতো বৈঠক করে জানানো হয় যে ফের ১০ তারিখ অর্থাৎ আজ বুধবার থেকে টলিপাড়ায় শুরু শুটিং। তবে প্রযোজক চিত্রনাট্যকারের দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি রাখা সম্ভব হল না। কারণ মঙ্গলবার রাতে বৈঠকের পর ফোরাম (West Bengal Motion Pictures Artists Forum) জানিয়ে দেয় প্রত্যেক টেলি শিল্পীর বীমার কাগজ আগে ফোরামকে দিতে হবে। তারপর শুটিং শুরু। কেননা এই শুটিং করতে এসে কেউ যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর বীমার টাকা নাও মিলতে পারে তখন কী হবে। একেবারে শেষ মুহূর্তে আর্টিস্ট ফোরামের এমন এক সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে টলিপাড়ার প্রযোজনা সংস্থাগুলি।

টলি পাড়ার রাণীমা ও ত্রিনয়নী (Photo Credits: Facebook)

লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন শুটিং বন্ধ টলিপাড়ায়। তাই টিভি খুললে এখন চলছে পুরনো ধারাবাহিক ও রিক্যাপ। আনলক-১ এর পর রীতিমতো বৈঠক করে জানানো হয় যে ফের ১০ তারিখ অর্থাৎ আজ বুধবার থেকে টলিপাড়ায় শুরু শুটিং। তবে প্রযোজক চিত্রনাট্যকারের দেওয়া এই প্রতিশ্রুতি রাখা সম্ভব হল না। কারণ মঙ্গলবার রাতে বৈঠকের পর ফোরাম (West Bengal Motion Pictures Artists Forum) জানিয়ে দেয় প্রত্যেক টেলি শিল্পীর বীমার কাগজ আগে ফোরামকে দিতে হবে। তারপর শুটিং শুরু। কেননা এই শুটিং করতে এসে কেউ যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর বীমার টাকা নাও মিলতে পারে তখন কী হবে। একেবারে শেষ মুহূর্তে আর্টিস্ট ফোরামের এমন এক সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে টলিপাড়ার প্রযোজনা সংস্থাগুলি।

এমনকী অভিনেতা অভিনেত্রীদের একাংশও খেপে গিয়েছেন। তাঁদের মতে ফোরামের কথার যুক্তি থাকলেও তাতো আগেই বলা যেত। মন্ত্রী ও প্রয়োজনা সংস্থার সঙ্গে তো বেশ কিছুদিন ধরেই বৈঠক চলছিল। যখন রাত পোহালেই শুটিংয়ের কল টাইম তখন কেন তা থামিয়ে দেওয়া হল। এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন নকশি কাঁথার নায়িকা মানালি। আবার রাণী রাসমণি-র দিতিপ্রিয়া বলছেন, বৈঠকে কি কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তিনি জানেন না। তাই কিছু বলতে পারেবন না। তবে “কাজ শুরু হোক, আমিও চাই সকলে কাজ করুক।তবে ইন্সিওরেন্সের বিষয়টির সমাধান করে কাজে নামাতে হবে” এদিকে সরকারে জানিয়েছে শিশু শিল্পীরা এই করোনা আবহে শুটিংয়ে আসুক তা কাম্য নয়। তাই চাইলেও রাণীমা এখন ফ্লোরের বাইরেই থাকছেন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, আর্টিস্টরা কেউ কেউ বলছেন ফোরাম না মেনেই কাজে যোগ দেবেন। এই বিষয়টা দেখতেও ভাল লাগছে না তাঁর। আরও পড়ুন-Jama Masjid: করোনা সংক্রমণে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দিল্লির পরিস্থিতি, ফের বন্ধ হতে পারে জামা মসজিদ; বললেন শাহী ইমাম

উল্লেখ্য, ৪ জুন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে যে বৈঠকে স্থির হয়, শিল্পীদের করোনা সংক্রান্ত বিমায় ৫০% দেবে সরকার, প্রযোজনা সংস্থা দেবে ৪০% এবং ১০% দেবে ফোরাম। মৌখিক স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ফোরামের অভিযোগ এ নিয়ে লিখিত কিছু পাননি তাঁরা। এ বার এখানে প্রশ্ন, বীমার কাগজের কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে বেশ কিছু দিন। এত জন শিল্পী, তাঁদের কারা কারাই বা বিমায় আওতায় পড়বেন, তা হিসেবের কাজটাও সময়সাপেক্ষ। ফোরামের পাল্টা যুক্তি, যত দিন না লিখিত কোনও কাগজ আসছে তার মধ্যে যদি কোনও আর্টিস্ট করোনা হয়ে মারা যান সে ক্ষেত্রে তিনি যে বীমার অন্তর্ভুক্ত হবেন সে বিষয়ে নিশ্চয়তা কী? ফোরামের সভাপতি প্রসেনজিৎ না থাকাতেই যত গোলমাল। চাপ সামলাতে না পেরে নাকি দায়িত্ব ছাড়ছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। তাই বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং আপাতত বিশবাঁও জলে। ১৫ জুন থেকে টিভিতে প্রিয় ধারাবাহিকের নতুন পর্ব দেখার আশা আপতত ছেড়ে দিন।