মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে তো, মেনে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এতদিন ধরে যে সাক্ষাৎকারের গুজবটি কলকাতার হাওয়ায় ভাসছিল তার সত্যতা এদিন স্বীকার করে নিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ। তিনি জানান, মুকুরবাবুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। সম্প্রতি চিটফান্ড মামলার সূত্রে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে টলিউডের এই এভারগ্রিন অভিনেতাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।
কলকাতা, ৭ আগস্ট: বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এতদিন ধরে যে সাক্ষাৎকারের গুজবটি কলকাতার হাওয়ায় ভাসছিল তার সত্যতা এদিন স্বীকার করে নিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ। তিনি জানান, মুকুরবাবুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। সম্প্রতি চিটফান্ড মামলার সূত্রে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে টলিউডের এই এভারগ্রিন অভিনেতাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে জবানবন্দিও দেন অভিনেতা। ঠিক তার পরেপরেই গুজব রটে মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রসেনজিৎ। সঙ্গে সঙ্গেই দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। আরও পড়ুন-Kolkata:‘তোমাদের মতো মেয়েদের এখনই রেপ করা উচিত’, কলকাতার রাজপথে আক্রান্ত তরুণী
ইডি-র খবরদারি থেকে বাঁচতেই সম্ভবত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন। নিন্দুকরা এমন ভুয়ো খবরও বাজারে রটিয়ে দিতে দেরি করেনি। নবান্নের অলিন্দেও এনিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা, কানাঘুষো। বিষয়টি জানতে পেরে কার্যতই ক্ষুণ্ণ হয়েচেন অভিনেতা, তবে তৃণমূলকে দোষ নিয়ে লাভ নেই। যেভাবে একের পর এক সাংসদ বিধায়ক নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাতে অভিনেতা প্রসেনজিৎ-কে সেই তালিকায় ফেলাটা সত্যিই বড় কোনও দোষ নয় বলেই মনে করচেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি, অভিনেতার সঙ্গে মুকুল রায়ের য়োগাযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরেই নবান্নে ক্ষোভের ছায়। শোনা যাচ্ছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যানের পদটি থেকেও তাঁকে সরিয়ে দিতে পারে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। বিষয়টি আঁচ করতেই মুখ খুলেছেন অভিনেতা। সাফ জানিয়েছেন, তিনি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যানের পদে থাকছেন কি না জানেন না। তবে যদি পদ থেকে অপসারিত করতেই হয় তাহলে তা সম্মানজনক উপায়েই করা উচিত। তাঁকে যেন আগে থেকে জানানো হয়। স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিকের সাক্ষাৎকারে অভিনেতা স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, এর আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। টলিউডের বুম্বাদা সেই পদে বসলে তিনি বলেন, ‘বাবা তুই হয়েছিস চেয়ারম্যান। এটা এত ভাল। তবে কেউ আমাকে বলল না।’ সাবিত্রীদেবীকে না জানিয়েই তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। এটা অবমাননার, এই ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটুক তা চান না প্রসেনজিৎ। এদিন টলিপাড়ার কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক বন্ধের বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত অভিনেতা জানান, আর্টিস্ট ফোরামের দায়িত্ব তিনি ছাড়ছেন না।
সেই সাক্ষাৎকারেই জানান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর দেখা হয়েছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেন বিজনেস ক্লাসে তাঁর সহযাত্রী ছিলেন মুকুল রায়। পাশাপাশি আসন ছিল দুজনের, ঘটনাটির পর একমাস কেটে গিয়েছে। এরপরেই দুয়ে দুয়ে চারের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অভিনেতার দাবি, তৃণমূল বিজেপি যেকোনও রাজনৈতিক দলের লোকজন তাঁকে সম্মান করে বালভাসে। তাই কারোর সঙ্গে দেখা হওয়া বা কথা বলা মানেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এমনটা হতে পারে না। অনেকের দাবি দিল্লিতে নেমে মুকুল রায়ের গাড়িতে চড়ে শহরে ঢুকেছেন অভিনেতা, এই দাবিও পত্রপাঠ অস্বীকার করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।