ভারতের গাড়ি বাজারে মন্দার কোপ, চার মাসে বেকার হলেন ৩.৫ লক্ষ কর্মী

ব্যাপক হারে ধস নেমেছে গাড়ি বাজারে, তাই ব্যবসায় নিদারুণ মন্দা। গাড়ি বিক্রিতে ধস নামার ফলে বিপাকে পড়েছে যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও। শেষমেশ মন্দা রুখতে কর্মী ছাঁটাই করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে সংস্থাগুলি। এর জেরে গত এপ্রিল থেকে আগস্টের এই কয়েক দিন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।

প্রতীকী ছবি(File Photo)

দিল্লি, ৭ আগস্ট: ব্যাপক হারে ধস নেমেছে গাড়ি বাজারে, তাই ব্যবসায় নিদারুণ মন্দা। গাড়ি বিক্রিতে ধস নামার ফলে বিপাকে পড়েছে যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও। শেষমেশ মন্দা রুখতে কর্মী ছাঁটাই করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে সংস্থাগুলি। এর জেরে গত এপ্রিল থেকে আগস্টের এই কয়েক দিন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। এককথায় গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণ শিল্প সংস্থাগুলির অবস্থা গুরুতর, তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আরও পড়ুন-মনস্টার ইঞ্জিনের ধামাকা, নতুন বাইক আনছে ইয়ামাহা

পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত পাঁচটি যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা আংশিক সময়ের কর্মীদের ব্যাপক পরিমাণে ছাঁটাই করেছে। মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এই ধস। এই অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার কথা অটোমেটিভ কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোশিয়েশনের সদস্যদের। সংস্থাকে উজ্জীবিত করার জন্যে তাঁরা চাইছেন কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, কর ব্যবস্থার সংস্কার। অটোমেটিভ কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোশিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেল বিনি মেহেতা স্বীকার করেছেন, মন্দার ফলে কাজ হারাচ্ছেন বহু কর্মী। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে গ্রাহক লোনের সুযোগ সুবিধা না বাড়ালে এবং গাড়ি ও যন্ত্রাংশ শিল্পকে ১৮ শতাংশ জিএসটির আওতায় না আনলে অবস্থার বদল সম্ভবও নয়।

উল্লেখ্য, বিদেশি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও বেশ বিপাকে। এরমধ্যেই ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়েছে জাপানের গাড়ি নির্মাতা ইয়ামাহা মোটরে। যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থা ভ্যালো ভারতে প্রায় ১৭০০ অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করেছে। অন্য দিকে সার্বো ছাঁটাই করেছে ৮০০ কর্মী। জানা গিয়েছে সুজুকি ইন্ডিয়া কয়েক মাস আগেই ১৮ হাজার ৮৪৫ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছিল। জুন মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এই কর্মীদের পুনর্বহাল করেনি সংস্থা। অন্যদিকে, টাটা মোটর গত দুই সপ্তাহ উৎপাদন বন্ধ করে রেখেছে। বারবার থমকে যাচ্ছে মহিন্দ্রার উৎপাদনও। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে হন্ডার রাজস্থান ও নয়ডার কারখানায় উৎপাদন বারবার থমকে গিয়েছে। এই সঙ্কটের আপাত সুরাহা হিসেবে সকলেই অস্থায়ী কর্মচারীই ছাঁটাইযের পথেই হাঁটছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now