Iran Hijab Protests: হিজাব পরতে অস্বীকার করায় মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকার বাতিল করলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি
হিজাব (Hijab) পরতে অস্বীকার করায় মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎকার (Interview) বাতিল করলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি (Iran President Ebrahim Raisi)। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সাক্ষাৎকার চলাকালীন সিএনএন-র প্রধান আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ক্রিশ্চিয়ান আমানপুর (Christiane Amanpour) হিজাব পরতে অস্বীকার করেছিলেন। যার কারণে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি সাক্ষাৎকার দেওয়া বাতিল করেন। হিজাব আইন ভঙ্গ করার অপরাধে ধৃত এক মহিলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই ঘটনা এই বিক্ষোভের নতুন করে ঘি ছড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর: হিজাব (Hijab) পরতে অস্বীকার করায় মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে নির্ধারিত সাক্ষাৎকার (Interview) বাতিল করলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি (Iran President Ebrahim Raisi)। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সাক্ষাৎকার চলাকালীন সিএনএন-র প্রধান আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ক্রিশ্চিয়ান আমানপুর (Christiane Amanpour) হিজাব পরতে অস্বীকার করেছিলেন। যার কারণে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি সাক্ষাৎকার দেওয়া বাতিল করেন। হিজাব আইন ভঙ্গ করার অপরাধে ধৃত এক মহিলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই ঘটনা এই বিক্ষোভের নতুন করে ঘি ছড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
টুইটারে আমানপুর জানিয়েছেন যে তাঁকে হেডস্কার্ফ পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা পরতে অস্বীকার করেন। এরপরই সাক্ষাৎকারটি বাতিল করা হয়েছিল। একের পর এক টুইট বার্তায় উপস্থাপক জানিয়েছেন যে তিনি ইরানে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। অন্যান্য বিষয়গুলি-সহ এমন অসংখ্য ঘটনা সামনে আসছে, যেখানে পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে মহিলারা তাঁদের হিজাব পোড়াচ্ছেন। আমানপুর জানিয়েছে যে তিনি রাষ্ট্রপতি রাইসির জন্য ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেন। কিন্তু তিনি বারবার হিজাব পরতে অস্বীকার করার পরে নির্ধারিত সাক্ষাৎকারটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। আরও পড়ুন: Iran Hijab Protest: হিজাব বিতর্কে উত্তাল ইরান, চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দেখুন ভিডিয়ো
ব্রিটিশ-ইরানি সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন, "আমি বিনয়ের সঙ্গে হিজার পরার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা নিউইয়র্কে আছি, যেখানে হেডস্কার্ফ পরা সংক্রান্ত কোনও আইন বা ইতিহাস নেই। আমি বলেছিলাম যে আমি এই অভূতপূর্ব এবং অপ্রত্যাশিত শর্তে একমত হতে পারব না।" টুইটের পাশাপাশি আমানপুর নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে হিজাব ছাড়া একটি খালি চেয়ারের সামনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ইরানে চলমান বিক্ষোভ বুধবার আরও তীব্র আকার নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ করেছে। কের পর এক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থা বলেছে যে বিক্ষোভের উপর মারাত্মক দমন-পীড়নে কমপক্ষে ৩১ জন ইরানি নাগরিক নিহত হয়েছেন।