Shehbaz Sharif Money Laundering Case: অর্থপাচার মামলায় পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে 'নিরপরাধ' ঘোষণা
২৮টি বেনামি অ্যাকাউন্টে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬.৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা পাচার করা হয়েছে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও তার ছেলে হামজার বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (National Accountability Bureau) পিতা-পুত্রকে নির্দোষ ঘোষণা করে একটি সম্পূরক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিচারক কামার-উল-জামানের তত্ত্বাবধানে আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। সামা টিভির খবরে বলা হয়, সোমবার পেশ করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেহবাজ শরীফ, হামজা শেহবাজসহ অন্যরা সব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি আনোয়ার হুসেন। জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো'র পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বলা হয়, শেহবাজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্থ পাচার ও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের সঙ্গে জড়িত। Internet Suspended in Pakistan: অনির্দিষ্টকালের জন্য পাকিস্তানে বন্ধ সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট পরিষেবা
সামা টিভির খবরে বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চিনি কেলেঙ্কারি মামলায় ১৬ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএমএল-এনের দুই নেতার বিরুদ্ধে আদালতে চালান দাখিল করে এফআইএ। তদন্তকারী দল শেহবাজ পরিবারের ২৮টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে, যার মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬.৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা ১৭,০০০ ক্রেডিট লেনদেনের মানি ট্রেইল পরীক্ষা করে। ব্রিটেনে পলাতক সুলেমান শেহবাজের সঙ্গে এই মামলায় শেহবাজ ও হামজাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এফআইআর-এ আরও ১৪ জনের নাম ছিল। সামা টিভির খবরে বলা হয়েছে, এই অর্থ গোপন অ্যাকাউন্টের আওতায় রাখা হয়েছে, যা ব্যক্তিগত ভাবে শেহবাজ শরিফকে দেওয়া হয়েছিল।