‌আজব নিয়ম, চাইলেও শহরের সুন্দরীরা কেন বিয়ে করতে পারেন না

ব্রাজিলের (Brazil)ছোট্ট পাহাড়ি শহর নোইভা দো করদেইরো। শতাব্দী প্রাচীণ এই শহরে বাস করেন মাত্র ৬০০ জন মহিলা।

ব্রাজিলের সুন্দরীরা(File pic)

৭মে, ২০১৯: ব্রাজিলের (Brazil)ছোট্ট পাহাড়ি শহর নোইভা দো করদেইরো। শতাব্দী প্রাচীণ এই শহরে বাস করেন মাত্র ৬০০ জন মহিলা। সকলেই অতিব সুন্দরী(girls)। কিন্তু আজব কাণ্ড বিয়ে করতে চাইলেও বর পান না তাঁরা। অনেকেই মনে করবেন নিশ্চই কোনও দোষ রয়েছে। কিন্তু এই করুণ পরিণতির জন্য এই শহরের কোনও সুন্দরীই দায়ী নন। দায়ী এই শহরের নিয়ম। যা কোনও পুরুষই মেনে চলতে রাজি হন না।

সেই নিয়ম শুনলে আপনিও অবাক হবেন। এই শহরের কোনও মেয়েকে বিয়ে করতে হলে যেনিয়মগুলি মেনে চলতে হবে পুরুষদের(Boys) তারমধ্যে অত্যতম হল কাজ। এই শহরের মেয়েেদর বিয়ে করলে এখানেই থাকতে হবে সেই যুবককে। অর্থাৎ এককথায় যাকে বলে ঘরজামাই হয়ে থাকতে হবে। তাতে অনেকেই রাজি হতে পারেন। কিন্তু তার পরের নিয়মগুলি শুনলেই পুরুষেরা না ছাড়া কিছু বলবেন না। কারণ বিয়ের পর সংসারের যাবতীয় কাজ অর্থাৎ বাসন মাজা, বাথরুম পরিষ্কার করা এমনকী রান্না করার কাজেও স্ত্রীদের সহযোগিতা করতে হবে।

এই নিয়ম দেখেই প্রেমে পড়লেও এই শহরের সুন্দরীদের বিয়ে করতে চান না কেউ। সেকারণেই আজ পর্যন্ত কোনও বিয়ে এই শহরে হয়নি। অধিকাংশ পুরুষই লিভ ইন করে থাকেন। সুন্দরীরা জানিয়েছেন, এই নিয়মকে তাঁরা যথেষ্ট সম্মান করেন। কারণ তাঁরা মনে করেণ নারী পুরুষের সমানাধিকার বোঝাতেই তাঁদের পূর্ব পুরুষরা এই নিয়ম করে গিয়েছেন। তার মর্যাদা তাঁরা রক্ষা করে চলেছেন। সেজন্যই এখানকার নারীরা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর। কৃষি কাজ থেকে দোকান বাজার ঘর সংসার সবই তাঁরা একাহাতে সামলান।