Nepal Gen Z Protest Live: প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার পর চরম বিশৃঙ্খলা, আগুনে ছারখার সংসদ ভবন থেকে সুপ্রিম কোর্ট, নেপালে জারি সেনা শাসন

নেপাল এখন দেশের সেনাবাহিনীর শাসনে। সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনা। দেশবাসীকে শান্ত ও সংযত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সেনাপ্রধান। আন্দোলন থামিয়ে সবাইকে বাড়ি ফেরার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

Nepal Gen Z Protest. (Photo Credits:X)

Nepal Gen Z Protest Live: নেপাল এখন দেশের সেনাবাহিনীর শাসনে। সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনা। দেশবাসীকে শান্ত ও সংযত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সেনাপ্রধান। আন্দোলন থামিয়ে সবাইকে বাড়ি ফেরার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিন দুপুরে নেপাল ছাড়েন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর ইস্তফার পর কোথাও চরম বিশৃঙ্খলা, কোথাও চরম নৈরাজ্য দেখা যায়। নেপালের সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস, রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্টে আগুন ধরিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে নেপালের সরকারী টিভির সদর দফতর থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনেও। উন্মুক্ত জনতা সরকারের যা কিছু সম্পত্তি, ভবন দেখেছে, তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশের থেকেও বেশি নৈরাজ্য চলছে নেপালে?

গত বছর বাংলাদেশের থেকেও নেপালের পরিস্থিত গত কয়েক ঘণ্টা বেশি খারাপ হয়েছে বলে দাবি। এই চরম বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যের মাঝে নেপালের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানাল। তার মানে নেপালে এখন সেনার শাসন।

সংসদ ভবনে আগুন

নেপালের বিক্ষোভের আগুনে পুড়ে ছাই সব কিছু

নেপালের সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলই এখন দেশের সিংহাসনে সে কথা বলা যায়। সেনাবাহিনীর প্রধানের কথা শুনেই এদিন পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তিনি দেশ ছাড়ার পর পুলিশ, সেনা সবই রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায়। এরপর নেপালের আম জনতা সুপ্রিম কোর্ট থেকে সংসদ ভবন-সব জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়।নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। কারণ বিক্ষোভকারীরা তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই সময় বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। কাঠমান্ডুর দল্লু এলাকায় প্রতিবাদকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে ভেঙে দেয়। নেপালের অর্থমন্ত্রীকে প্রকাশ্য রাস্তায় গণপিটুনি দেওয়া হয়।

কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় সেনার টহল

কাঠমান্ডুর ত্রিভুভন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া , ইন্ডিগো সহ সব আন্তর্জাতিক বিমান। নেপাল সেনাবাহিনী দেশের প্রধান এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যৌথভাবে শান্তি এবং রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে, এবং লুটপাট বা আগুন লাগানোর বিরুদ্ধে সতর্কবাণী জারি করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন নেপাল সরকারের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের তদন্তের দাবি করেছে এবং মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়

ভারত সরকার দেশের নাগরিকদের নেপাল ভ্রমণ স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছে এবং সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস জরুরি যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে এবং স্থানীয় নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি গত বছর জুলাইয়ে তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় বসার পর কখনও ভারত সফর করেননি, অথচ দু'বার চিন সফরে গিয়েছিলেন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement