Brain-Eating Amoeba: টেক্সাসের জলে বাসা বেঁধেছে মগজখেকো অ্যামিবা, মৃত্যু নাবালকের
সরবরাহ করা জলে বাসা বেঁধেছে ভয়ঙ্কর মগজখেকো অ্যামিবা (Brain-Eating Amoeba)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন মুলুকের টেক্সাস প্রশাসনের ঘুম উড়েছে। সমগ্র টেক্সাসে বিপর্যয় ঘোষণার পাশপাশি ট্যাপের জল যাতে টেক্সাসের বাসিন্দারা না ব্যবহার করেন, তা-ও বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম (Naegleria fowleri), এই অ্যামিবাকে খালি চোখে দেখা যায় না। মস্তিষ্ককে কুরে কুরে খায় এই অ্যামিবা। টেক্সাসের বছর ছয়েকের এক শিশুর মত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মানুষখেকো অ্যামিবা যে বাসা বেঁধেছে তা আগেভাগে প্রশাসনের নজরে আসেনি।
অস্টিন, ২৯ সেপ্টেম্বর: সরবরাহ করা জলে বাসা বেঁধেছে ভয়ঙ্কর মগজখেকো অ্যামিবা (Brain-Eating Amoeba)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মার্কিন মুলুকের টেক্সাস প্রশাসনের ঘুম উড়েছে। সমগ্র টেক্সাসে বিপর্যয় ঘোষণার পাশপাশি ট্যাপের জল যাতে টেক্সাসের বাসিন্দারা না ব্যবহার করেন, তা-ও বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক নাম (Naegleria fowleri), এই অ্যামিবাকে খালি চোখে দেখা যায় না। মস্তিষ্ককে কুরে কুরে খায় এই অ্যামিবা। টেক্সাসের বছর ছয়েকের এক শিশুর মত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মানুষখেকো অ্যামিবা যে বাসা বেঁধেছে তা আগেভাগে প্রশাসনের নজরে আসেনি। যতক্ষণ বিষয়টি প্রকাশ্যে ততক্ষণে প্রাণ গিয়েছে এক ক্ষুদের। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তড়িঘড়ি বিপর্য. ঘোষণা করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৬১.৪৫ লাখ, মৃত্যু মিছিলে শামিল ৯৬,৩১৮ জন
ব্রাজোরিয়া কাউন্টির লেক জ্যাকসন এলাকায় মৃত শিশুর বাড়ি। সেখানকার জলেই মগজখেকো ভয়ঙ্কর অ্যামিবার সন্ধান পেয়েছে টেক্সাস প্রশাসন। বাগানবাড়ির ট্যাপের জলে রয়েছে ভয়ঙ্কর অ্যামিবা। টাউন সেন্টারের এক ঝরনাতেও মিলেছে এই অ্যামিবার উপস্থিতি। এরপরেই গভর্নর রীতিমতো জরুরি অবস্থা জারি করেছেন সমগ্র টেক্সাসজুড়ে।
এই মগজখেকো অ্যামিবা আসলে কী?
এই এক-কোষী অ্যামিবা উষ্ণ জলে জন্মায়। মাটিতেও থাকে। নাকের মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরে একবার ঢুকলে, সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। এর সংক্রমণ যদিও খুব কম শোনা যায়। কিন্তু, একবার হলে প্রাণসংশয় দেখা দিতে পারে। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের জলে প্রথম এই মগজখেকো অ্যামিবার সন্ধান মিলেছিল। দ্রুত কোষ বিভাজন করে অ্যামিবারা। সেজন্য বট ওয়াটার লেক বা উষ্ণ প্রস্রবণগুলোতে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত জলেও দেখা মেলে এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না-করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ জলে দ্রুত ছড়ায় অ্যামিবা। এককোষী হলেও এদের প্রভাব মারাত্মক। মানুষের স্নায়ুকোষকে নিমেষে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এই মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের মৃত্যু হয়। পরিসংখ্যান বলছে, Naegleria fowleri-র সংক্রমণ বিরল। কিন্তু, মৃত্যুহার ৯৭ শতাংশ। ১৯৬২ থেকে ২০১৮-র মধ্যে ১৪৫ জন এই মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মাত্র ৪ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)