McDonald's CEO Quits: সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ায় ম্যাকডোনাল্ডসের সিইও পদ থেকে সরানো হল স্টিভ ইস্টারব্রুককে

ম্যাকডোনাল্ডসের সিইওর পদ থেকে সরানো হল চিফ এগজিকিউটিভ স্টিভ ইস্টারব্রুককে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কোম্পানির শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ। ফাস্ট- ফুড জায়েন্ট বোর্ডের দাবি, ২০১৫ থেকে ম্যাকডোনাল্ডসের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন স্টিভ ইস্টারব্রুক।

স্টিভ ইস্টারব্রুক (Photo Credits: getty)

নিউইয়র্ক, ৪ নভেম্বর: ম্যাকডোনাল্ডসের (McDonald's) সিইওর (CEO) পদ থেকে সরানো হল চিফ এগজিকিউটিভ স্টিভ ইস্টারব্রুককে (Steve Easterbrook)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক সহকর্মীর সম্মতিসূচক সম্পর্কে (Consensual Relationship) জড়িয়ে পড়েন তিনি। কোম্পানির শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ জানায় ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ। এই ফাস্ট-ফুড জয়েন্ট বোর্ডের দাবি, ২০১৫ থেকে ম্যাকডোনাল্ডসের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন স্টিভ ইস্টারব্রুক।

এরপর স্টিভ ইস্টারব্রুক রবিবার কর্মীদের উদ্দেশে একটি ই-মেল (E-mail) করে জানিয়েছেন, "এটা আমার ভুল ছিল। ম্যাকডোনাল্ডসের নীতির কথা মাথায় রেখে আমার উচিত কোম্পানি থেকে সরে যাওয়া। আমি কোম্পানির বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছি।" আরও পড়ুন, গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্মজয়ন্তীতে নগর কীর্তনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছাল ১১০০ ভারতীয়

এরপর ম্যাকডোনাল্ডস আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, ৫১ বছর বয়সী ক্রিস কেম্পজিনস্কিকে নতুন সিইও করা হয়। ক্রিস কেম্পজিনস্কি (Chris Kempczinski) সিইওর পদে নিযুক্ত হয়ে স্টিভ ইস্টারব্রুককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, কোম্পানি তার গ্রাহকদের উপর জোর দিয়ে পরবর্তী ভাবনায় মনোনিবেশ করবে বলে আশা করেন তিনি।

#MeToo সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের পর আমেরিকার কর্মীদের প্রতি এগজিকিউটিভদের আচরণের ওপর একটি পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। সেখানেই কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অনেক ঘটনা উঠে আসে। ২০১৮ সালের জুন মাসে কোম্পানির নীতি ভাঙায় পদত্যাগ করতে হয় ইনটেল কর্পের সিইও ব্রায়ান ক্রনাচকে। জানা গিয়েছিল, কোম্পানির এক কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।

শিকাগোর ম্যাকডোনাল্ডসকে এক নামেই চেনে বিশ্ববাসী। স্বাভাবিকভাবেই এধরণের অভিযোগ নষ্ট করতে পারে কোম্পানির ভাবমূর্তি।