Jerusalem Shooting: পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ হারালেন সাতজন, পুলিশের গুলিতে নিহত আততায়ী
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বয়ান অনুসারে, আয়েশ আব্রাহাম সিনাগগে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে বেইত হানিনার ফিলিস্তিনি পাড়ার দিকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার অভিযানের সময় পুলিশের দিকে গুলি করে সে।পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে
পূর্ব জেরুজালেমে নেভ ইয়াকভ পাড়ার একটি সিনাগগের বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় (Jerusalem Terror attack) প্রাণ হারালেন কমপক্ষে সাতজন নিহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হামলাকারীর নাম ফাদি আয়েশ। সে ফিলিস্তিনের একজন হামাস সদস্য। সে পূর্ব জেরুজালেমের শুয়াফাতে বসবাস করত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বয়ান অনুসারে, আয়েশ আব্রাহাম সিনাগগে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে বেইত হানিনার ফিলিস্তিনি পাড়ার দিকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার অভিযানের সময় পুলিশের দিকে গুলি করে সে।পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। তবে গাড়িতে আরও একজন ছিলেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবারের এই বন্দুক হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে প্রাণঘাতী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।হামলার পর জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) বলেছে, তারা ১০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ও ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্যালেস্তাইনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েল এক সামরিক অভিযান চালায়। এতে বয়স্ক ব্যক্তি, এক নারীসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর পরদিন পূর্ব জেরুজালেমে এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার পর গোটা প্যালেস্তাইন জুড়ে উৎসব শুরু হয়ে যায়। আতসবাজি ফাটিয়ে , রাস্তায় নেমে মানুষ এই আনন্দে মেতে ওঠে। এমনকি জেনিনের শরণার্থীশিবিরেও উল্লাস দেখা যায়।