UK Election 2019: ব্রেক্সিটের গেরো, পরবর্তী নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা থাকছেন না জেরেমি করবিন
হস্পতিবার বৃষ্টিভেজা লন্ডনে নির্বিঘ্নে ভোট মিটলেও জয়ের পাল্লা যে কার দিকে ভারী তা সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) এটিই শেষ চান্স, এবার যদি জিতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন তাহলে নেতার পদ খোয়াতে হবে। এদিকে কনজ়ারভেটিভরা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) (NHS) বেচে দেবে, এই বার্তা দিয়ে ভোটারদের মন কাড়তে চেয়েছেন করবিন। তবে তার পরেও লেবার পার্টির জেরেমি করবিনও দলনেতা হিসেবে ভোটারদের খুব আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারেননি। যাঁরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেরই বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে।
লন্ডন, ১৩ ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার বৃষ্টিভেজা লন্ডনে নির্বিঘ্নে ভোট মিটলেও জয়ের পাল্লা যে কার দিকে ভারী তা সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) এটিই শেষ চান্স, এবার যদি জিতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন তাহলে নেতার পদ খোয়াতে হবে। এদিকে কনজ়ারভেটিভরা জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) (NHS) বেচে দেবে, এই বার্তা দিয়ে ভোটারদের মন কাড়তে চেয়েছেন করবিন। তবে তার পরেও লেবার পার্টির জেরেমি করবিনও দলনেতা হিসেবে ভোটারদের খুব আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারেননি। যাঁরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেরই বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে (issue of Brexit) বিপাকে পড়েত পারেন বুঝতে পেরেই আগামী নির্বাচনে না লড়ার বার্তা দিলেন জেরেমি করবিন।
কারণ লেবার পার্টি ফের গণভোট করানোর কথা বলেছে। সে ক্ষেত্রে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর যাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থেকে যাওয়ার পক্ষে, সেই অংশও মনে করছে, তাদের বিশ্বাস রক্ষা করা হয়নি। করবিন ইইউ-এ থেকে যাওয়ার মতো কোনও ভরসাও দেননি। এর পাশাপাশি ইহুদি-বিদ্বেষ তো লেবার পার্টির বড় সমস্যা। ব্রিটেনের প্রধান র্যাবাই জনতার উদ্দেশে লেবার পার্টিকে ভোট না দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রাও লেবার পার্টির উপরে এখন ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর থেকেই লেবার পার্টি ক্রমশ ভারত-বিরোধী, হিন্দু-বিরোধী হয়ে উঠেছে। সবমিলিয়ে যারা কনজারভেটিভ পার্টির কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা যে লেবার পার্টিকে ভরসা করে বৈতরণী পার করতে চাইছেন তা কিন্তু বলা যাবে না। আরও পড়ুন-CAB: সকালে অমিত শাহের সমালোচনা, বিকেলে ভারত সফর বাতিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের
বৃহস্পতিবার সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে ভোটের বাদ্যি ভালই বেজেছে। নিজের পোষ্য কুকুর ডিলাইনকে নিয়ে মধ্য লন্ডনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন উত্তর লন্ডনে ভোট দেওয়ার পরে পোজ় দিয়ে ছবিও তুলেছেন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী নিকোলা স্টার্জন গ্লাসগোর বুথে ভোট দেন। লিবারাল ডেমোক্র্যাট নেত্রী জো সুইনসন ভোট দিতে গিয়েছিলেন স্বামী ডানকান হেমসের সঙ্গে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের চোখে, এ বারের ভোট অনেকটাই অননুমেয়। জনমতসমীক্ষায় অবশ্য এখনও কনজারভেটিভ পার্টিকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু অনেকের মতে, লেবার পার্টিও পিছিয়ে নেই এ বার। তাই কনজারভেটিভ পার্টির ভোট অন্য দলে চলে গেলে ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।