Israel-Iran War: বেরুইটে হামলা ইজরায়েলের, খোঁজ মিলছে না Iran Quds Force Commander ইসমাইল কানির

আরবীতে কথা বলতে পারতেন না কানি। অথচ তাঁর গুরু সুলেইমানি আরবীতে পারদর্শী ছিলেন। ফলে তিনি ইরাকি জঙ্গি এবং হেজবুল্লাদের সঙ্গে সমানভাবে কথপোকথন করতে পারতেন।

Esmail Qaani (Photo Credit: X)

দিল্লি, ৮ অক্টোবর: ইরানের (Iran) কোয়াডস কমান্ডার ইসমাইল কানির (Esmail Qaani) কোনও খোঁজ মিলছে না। লেবাননের (Lebanon) রাজধানী বেরুইটে ইজরায়েলের (Israel) হামলার পর থেকেই ইসমাইল কানির কোনও খোঁজ মিলছে না বলে খবর। রিপোর্টে প্রকাশ, গত সপ্তাহে বেরুইটে হামলা চালায় ইজরায়েল। ওই হামলার পর থেকেই ইরানের কোয়াডস নেতা ইসলাইল কানি বেপাত্তা। হেজবুল্লা (Hezbollah) প্রধান হাসান নাসরুল্লার নিহত হওয়ার খবর মিললে, ইরান থেকে লেবাননে যান ইসমাইল কানি। লেবাননে থাকাকালীনই ইজরায়েল সেখানে হামলা চালায়। যার পর থেকেই ইসমাইল কানির আর কোনও খোঁজ মিলছে না বলে খবর।

কে এই ইসমাইল কানি...

২০২০ সালে কাসিম সুলেইমানির মৃত্যুর পর ইসমাইল কানির হাতে ইরানের (Iran) রেভলিউশনারি গার্ড করপসের (Iran Quds Force Commander) দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাগদাদে ২০২০ সালে ড্রোন হামলা হয়। ওই হামলায় কাসিম সুলেইমানির মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

কানির নেতৃত্বে তেহরানের এই প্যারামিলিটারি ফোর্স মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক অশান্তি বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। গোটা বিশ্বেও এই ফোর্সের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

৬৭ বছরের ইসমাইল কানির জন্ম হয় ইরানের মাসাদ শহরে। ১৯৮০ সালে ইরাক, ইরানের যুদ্ধের সময় রেভলিউশনারি গার্ড করপসে যোগ দেন ইসমাইল কানি।

আরবীতে কথা বলতে পারতেন না কানি। অথচ তাঁর গুরু সুলেইমানি আরবীতে পারদর্শী ছিলেন। ফলে তিনি ইরাকি জঙ্গি এবং হেজবুল্লাদের সঙ্গে সমানভাবে কথপোকথন করতে পারতেন।

সুলেইমানির মত জনপ্রিয় ছিলেন না কানি। তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন। শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক কোনও বিষয়ের আলোচনায় তাঁকে টেবিলে দেখা যেত।

এমনকী কাজের প্রয়োজনে অন্য দেশে গেলেও কানি নিজেকে প্রকাশ করতে একেবারেই পছন্দ করতেন না। সব সময় ব্যক্তিগত পরিসরে গোপনীয়তা বজায় রাখতেন ইসমাইল কানি।



@endif