Iraq Wedding Fire: বিভীষিকাময় বিয়ের অনুষ্ঠান ইরাকে, নিমেষে পুড়ে ছাই, প্রাণে বাঁচলেও জীবন্ত লাশ স্বজনহারা নবদম্পতি
ভয়াবহ এক বিবাহ অনুষ্ঠান সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক দিনে স্বজনহারা হয়েছেন ২৭ বছরের রেভান এবং ১৮ বছরের হানিন। অগ্নিকান্ড থেকে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও চোখের পলকে কাছের মানুষদের হারিয়ে জীবন্ত লাশ হয়ে গিয়েছেন নবদম্পতি।
বিভীষিকাময় এক বিবাহ অনুষ্ঠান সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। ইরাকের উত্তর নিনভেহ প্রদেশের কারাকোশে গত মঙ্গলবার এক বিয়ে বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক অতিথির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫০ বেশি। কপাল জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বর এবং কনে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক দিনে স্বজনহারা হয়েছেন ২৭ বছরের রেভান এবং ১৮ বছরের হানিন। অগ্নিকান্ড থেকে সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও চোখের পলকে কাছের মানুষদের হারিয়ে জীবন্ত লাশ হয়ে গিয়েছেন নবদম্পতি।
মঙ্গলবার রাতে রেভান এবং হানিনের বিয়ে অনুষ্ঠানে ৯০০ জন অতিথির সমাগম বসেছিল। এক সাক্ষাৎকারে শোকাহত নবদম্পতি জানান, রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগতে শুরু করেছিল। তাঁদের ধারণা বিবাহের অনুষ্ঠানের জন্যে যে সমস্ত আতশবাজি ফাটানো চলছিল সেখান থেকে কোনভাবে আগুন লেগেছে। আবার অনুষ্ঠান হলে শর্ট সার্কিট হয়েও আগুন ছড়াতে পারে, নিশ্চিত করে জানেন না তারাও। দুর্ঘটনায় মা এবং ভাই সহ পরিবারের ১৫ জনকে হারিয়েছেন সদ্য বিবাহিত হানিন। তাঁর বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার শিহরিত মুহূর্ত...
সাক্ষাৎকারে ঘটনার বর্ণনা করে রেভান বলেন, অনুষ্ঠানে প্রচুর নাচ গান হচ্ছিল। তার মাঝে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। আসতেই চোখে পরে হলের সিলিংয়ে আগুন। যা দেখা মাত্রই অনুষ্ঠান বাড়ি মুহূর্তের মধ্যে জলন্তপুরীতে পরিণত হয়। আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে হট্টগোল, দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সকলে ছুটছে। পদদলিত হয় অনেকে। পায়ে চোট পেয়েছেন স্ত্রী হানিন। দুঃখ প্রকাশ করে রেভান বলেন, অনুষ্ঠান হলে একটি মাত্র অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল। কিন্তু সেটিও সঠিক সময়ে কাজ করেনি।
স্বজনহারার এই দেশে আর থাকতে পারছেন না তাঁরা। বেঁচে আছে, খাচ্ছেন, কথা বলছেন কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাঁরা তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রেভান। আত্মীয়, বন্ধু, কাছের মানুষদের হারিয়ে এখন তাঁরা জীবনলাশ। তাই এই শহর ছেড়ে দূরে কথাও গিয়ে থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন নবদম্পতি।