বুলেটের আঁচড় ভুলে সবুজায়নে ঢাকুক পাকিস্তান, গাছের চারা পুঁতে ইসলামাবাদ ছাড়লেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, ছবি ভাইরাল
ফেরার আগে পাকিস্তানের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এমনটাই প্রার্থনা করলেন অজয় বিসারিয়া। এমনকী দেশে ফেরার আগে ইসলামাবাদে (Islamabad) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের বাগানে পুঁতলেন নতুন চারা গাছ।
ইসলামাবাদ, ১২ আগস্ট: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের জেরে পাকিস্তান ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বয়কট করেছে। ঘটনার একদিনের মধ্যেই ইমরান খান (Imran Khan) সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে (Ajay Bisaria) দিল্লি ফিরে যেতে বলা হয়। যাওয়া বললেও তো যাওয়া হয় না, একজন কূটনীতিককে বিদেশের মাটিতে অনেক ধরনের কাজই করতে হয়। আর দেশটি যদি পাকিস্তান হয় তো কথাই নেই। তায় তিনি আবার ভারতীয় কূটনীতিক, তবে ফেরার আগে পাকিস্তানের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এমনটাই প্রার্থনা করলেন অজয় বিসারিয়া। এমনকী দেশে ফেরার আগে ইসলামাবাদে (Islamabad) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের বাগানে পুঁতলেন নতুন চারা গাছ। আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে সতর্ক করল তালিবান, কাশ্মীর সমস্যায় আফগানিস্তানকে টানবেন না
এরপর এক টুইট বার্তায় সেসব ছিব পোস্ট করে লিখলেন, “পাকিস্তান ছাড়ার আগে একটা গাছের চারা পুঁতে দিয়ে এলাম,… আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। অনেক দিক থেকে এটা অর্থবহ”। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ১৫০ টি গাছের চারা লাগানোর কথা ঠিক হয়েছিল। ১৫০তম চারাটি পুঁতে দেশে ফিরলেন তিনি। বলা বাহুল্য, ৩৭০ ধারা নিয়ে যখন পাকিস্তান উঠেপড়ে লেগেছে তখন নয়াদিল্লি গোড়াতেই স্পষ্ট করেছে কাশ্মীরে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে কোনও আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু সে কথার বলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নয়াদিল্লি এই বার্তাও ধারাবাহিক ভাবে দিয়ে যেতে চায় যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সুষ্ঠু সহাবস্থান চায় ভারত। সংঘাত কোনও ভাবেই উদ্দেশ্য নয়। গাছের চারা পুঁতে দিয়ে আসার ছবিটা সেই দিক থেকে ইঙ্গিতবাহী।
এদিকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদ ছাড়ার আগে যতই গাছের চারা পুঁতে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানাক না কেন পাকিস্তান ভুলছে না। কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস কেড়ে নিয়ে ভারত যে অন্যায় করেছে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই স্থির থাকবে ইসলামাবাদ। সাউথ ব্লকের কূটনীতিকদের কথায়, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের পর পাকিস্তান পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। কখনও রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে যাচ্ছে, কখনও বা ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিকে খ্যাপাতে চাইছে। বলছে, কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে। কিন্তু নয়াদিল্লির কৌশলগত অবস্থানই হল, ইসলামাবাদের এই ফাঁদে পা না দেওয়া। বরং পাকিস্তানের উদ্দেশে বারবার এই বার্তাই দেওয়া যে সংঘাত ও ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার পথ ছেড়ে আলোচনায় আসুক ইসলমাবাদ। তরই সূচনা করে এলেন অজয় বিসারিয়া।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)