Hiroshima Day 2020: ৭৫ বছর আগে আজকের দিনেই পরমাণু বোমায় কেঁপে উঠেছিল জাপানের হিরোশিমা
সকাল ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। ৭৫ বছর আগে আজকের দিনেই পরমাণু বোমায় (Atom bomb) কেঁপে উঠেছিল জাপানের (Japan) হিরোশিমা (Hiroshima) শহর। অ্যামেরিকার বি ২৯ বিমান থেকে ফেলা হয় 'লিটল বয়', বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা। প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয় প্রাথমিকভাবে। তখনও ঘুমের মধ্যেই ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। মাটির সঙ্গে মিশে যায় বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একটি গোটা শহর। পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। পরমাণু বিস্ফোরণের জের আজও বয়ে নিয়ে চলেছে জাপান। তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়েছেন সধারণ মানুষ। সেই অমানবিক ঘটনার ৭৫ বছর পূর্তিতে হিরোশিমায় সমবেত হয়েছিলেন কিছু বেঁচে যাওয়া মানুষ, মৃতদের পরিবারের লোক, কিছু বিদেশি প্রতিনিধি, শহরের বর্তমান লোক ও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা। করোনার কারণে এ বার অনেক কম লোক সমবেত হয়েছিলেন।
হিরোশিমা, ৬ অগাস্ট: সকাল ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। ৭৫ বছর আগে আজকের দিনেই পরমাণু বোমায় (Atom bomb) কেঁপে উঠেছিল জাপানের (Japan) হিরোশিমা (Hiroshima) শহর। অ্যামেরিকার বি ২৯ বিমান থেকে ফেলা হয় 'লিটল বয়', বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা। প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয় প্রাথমিকভাবে। তখনও ঘুমের মধ্যেই ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। মাটির সঙ্গে মিশে যায় বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একটি গোটা শহর। পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। পরমাণু বিস্ফোরণের জের আজও বয়ে নিয়ে চলেছে জাপান। তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়েছেন সধারণ মানুষ। সেই অমানবিক ঘটনার ৭৫ বছর পূর্তিতে হিরোশিমায় সমবেত হয়েছিলেন কিছু বেঁচে যাওয়া মানুষ, মৃতদের পরিবারের লোক, কিছু বিদেশি প্রতিনিধি, শহরের বর্তমান লোক ও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা। করোনার কারণে এ বার অনেক কম লোক সমবেত হয়েছিলেন।
তাঁরা শান্তির গান গাইলেন, প্রার্থনা করলেন এবং শান্তির কথা বললেন। তাঁদের একটাই আবেদন, সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করা হোক। সব দেশ যেন তাঁদের পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলে। তবে হিরোশিমা শান্তি স্মারক বা পিস মেমোরিয়ালে স্থানীয় সময় ৮টা ১৫ মিনিটে গান, কথা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। নীরব থেকে স্মরণ করা হয় তাঁদের, যাঁরা ৭৫ বছর আগে মারা গেছিলেন পরমাণু বোমার বিস্ফোরণে। আরও পড়ুন: Lebanon: লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত ৭৩, আহত অগুন্তি
জাপানের আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। অ্যামেরিকা মনে করে এই বোমাবর্ষণের ফলে যুদ্ধ আগেই সমাপ্ত হয়েছিল, যার ফলে পূর্ব-পরিকল্পিত জাপান আক্রমণ (invasion) সংঘটিত হলে উভয় পক্ষের যে বিপুল প্রাণহানি হত, তা আর বাস্তবে ঘটেনি। অন্যদিকে জাপানের নাগরিকরা মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেন না জাপানের অসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল।
শুধু হিরোশিমা নয়, শান্তি ও পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের দাবি উঠল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং রাষ্ট্রসংঘের তরফে। ভিডিয়োবার্তায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস বলেন, "যারা সেদিন বেঁচে গেছিলেন, তাঁদের গল্প, কষ্ট ও সহনশীলতা যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্বর জন্য আমাদের একজোট করে।"