The Fall of the Berlin Wall Google Doodle: বার্লিন প্রাচীর পতনের ৩০ বছরপূর্তিতে গুগলের অ্যানিমেটেড ডুডল
গুগুল (Google) আজ গুগুল ডুডলের (Google Doodle) মাধ্যমে ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনের (Fall Of The Berlin Wall) ৩০ বছরপূর্তি (30th Anniversary) পালন করল। নিজেদের ডুডলে বার্লিন প্রাচীর পতনের সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য তুলে ধরল অ্যানিমেশনের (Animation) মধ্যে দিয়ে। ১৯৮৯, ৯ নভেম্বর পতন হয়েছিল এই প্রাচীরের। প্রবল অসন্তোষের পর পূর্ব জার্মান সরকার পশ্চিম বার্লিনে যাবার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। হাজার হাজার উৎসুক জনতা প্রাচীর টপকে পশ্চিম পাশে যেতে থাকে। পশ্চিম প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের স্বাগত জানানো হয়। আজ এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ৩০ বছর পূর্ণ হল।
গুগুল (Google) আজ গুগুল ডুডলের (Google Doodle) মাধ্যমে ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনের (Fall Of The Berlin Wall) ৩০ বছরপূর্তি (30th Anniversary) পালন করল। ডুডলে বার্লিন প্রাচীর পতনের সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য তুলে ধরল অ্যানিমেশনে (Animation)। ১৯৮৯, ৯ নভেম্বর পতন হয়েছিল এই প্রাচীরের। তিরিশ বছর আগে প্রবল অসন্তোষের পর পূর্ব জার্মান সরকার পশ্চিম বার্লিনে যাবার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। হাজার হাজার উৎসুক জনতা প্রাচীর টপকে পশ্চিম পাশে যেতে থাকে। পশ্চিম প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের স্বাগত জানানো হয়। আজ এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ৩০ বছর পূর্ণ হল।
বার্লিন প্রাচীর পূর্ব জার্মানি (East Germany) ও পশ্চিম জার্মানির (West Germany) একটি সীমানা ছিল। একে সীমানা প্রাচীরও বলা হয়। ১৩ই আগস্ট ১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই প্রাচীর দুই জার্মানিকে আলাদা করে রেখেছিল। ইউরোপ স্নায়ুযুদ্ধে প্রতীক হয়ে উঠেছিল যে বার্লিনের প্রাচীর। গণ বিক্ষোভের মুখে তা ভেঙে পড়ে। ১৯৮৯, ৯ নভেম্বরে হাজার হাজার মানুষ প্রাচীর টপকে পশ্চিম বার্লিন যেতে গেলে প্রায় ১২৫ জন সরকারিভাবে প্রাণ হারান। আরও পড়ুন, আলোচ্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, দুদিনের ভারত সফরে আসছেন ইংল্যাণ্ডের যুবরাজ চার্লস
বার্লিন শহরটি সোভিয়েত অংশের অন্তর্গত হলেও এটিকে চার অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল। দখলদার রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশ্য জার্মানি শাসন হলেও ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত অংশ নিয়ে গঠন করা হয় ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি। এর বিপরীতে সোভিয়েত অধিকৃত অংশে গঠিত হয় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ জার্মানি। বিপুল পরিমাণ অভিবাসন ঠেকাতে পূর্ব জার্মান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বার্লিনের পূর্ব ও পশ্চিমে একটি প্রাচীর তুলে দেওয়া হবে। স্তালিন দুই জার্মানির সীমান্তকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে দুই স্তরের পাহারা উল্লেখ করেন। প্রথমে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। কিন্তু পরে চারটি স্তরে প্রাচীর দেওয়া হয়। ১৯৭৫- ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজ চলে। এরপর বার্লিন প্রাচীর পতনের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে জনঅসন্তোষ। পূর্ব বার্লিনের অ্যালেক্সসান্ড্রাপ্লাটসে ১০ লাখ বিক্ষোভকারী সমবেত হয়। প্রায় ৫০০০ মানুষ প্রাচীর অতিক্রমের জন্য চেষ্টা করে। এরফলে বেসরকারি হিসেবে অনুযায়ী ২০০ জন মারা যায়।
গুগুল ডুডলের ২৭ বছর বয়সী ইলাস্ট্রেটর মনে করেন ডুডলটি সকল ইউরোপীয় ও জার্মানিদের মনে গভীর দাগ কাটবে। হাজার হাজার মানুষ এই দিনটায় একত্রিত হয়ে এই বিপ্লবের উদযাপন করে এবং ভবিষ্যতেও তা করবে।