EU-ASEAN Commemorative Summit: ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
ইইউ-আসিয়ান স্মারক সম্মেলনে (EU-ASEAN Commemorative Summit) ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবুজ রূপান্তর,'সাসটেইনেবল কানেক্টিভিটি ইনিশিয়েটিভ' এবং 'গ্রিন টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ'-এর আওতায়, ও টেকসই যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
ব্রাসেলস: এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (Association of Southeast Asian Nations) (আসিয়ান)-এ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ইউরো (১০.৬ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) (ইইউ)। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবর অনুসারে বুধবার অনুষ্ঠিত ইইউ-আসিয়ান স্মারক সম্মেলনে (EU-ASEAN Commemorative Summit) ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবুজ রূপান্তর,'সাসটেইনেবল কানেক্টিভিটি ইনিশিয়েটিভ' এবং 'গ্রিন টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ'-এর আওতায়, ও টেকসই যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিনিয়োগে জ্বালানি, পরিবহন, ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা এবং বাণিজ্য ও টেকসই মূল্য শৃঙ্খলের প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই তহবিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তর, প্রয়োজনীয় পরিষেবায় উন্নত প্রবেশাধিকার এবং অর্থনৈতিক সুযোগ ও চাকরিতে সহায়তা করবে।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা ইইউ-আসিয়ান কম্প্রিহেনসিভ এয়ার ট্রান্সপোর্ট চুক্তি (EU-ASEAN Comprehensive Air Transport agreement), যার মানে প্রথমবারের মতো অঞ্চল থেকে অঞ্চল বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের বিশেষ প্রশংসা করেন। সম্মেলনের শেষে আসিয়ানের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী ইইউর সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আসিয়ান নেতারা। স্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে তাঁরা অঙ্গীকারবদ্ধ, এটিও জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লেয়েন (Ursula von der Leyen) জানান যে এখনও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কারণ, যখন তাঁরা একে অপরের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, তখন তাঁদের বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ। সামিটের সময়, বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের বিষয়েও আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন নেতারা, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাতের কারণে ভোগান্তির বিষয়ে তাদের আপত্তি সহ, বিবৃতিতে বলা হয়।