ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, দূষণের জেরে ভারতের কিছু শহরে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
ভারতকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এক ইন্টারভিউয়ে ট্রাম্প বললেন, 'ভারত (India), চিন (China), রাশিয়া (Russia) সহ আরও কিছু দেশে বাতাস আর জল দূষণের মাত্রা খুব বেড়েছে।
লন্ডন, ৬ জুন: পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এক ইন্টারভিউয়ে ট্রাম্প বললেন, 'ভারত (India), চিন (China), রাশিয়া (Russia) সহ আরও কিছু দেশে বাতাস আর জল দূষণের মাত্রা খুব বেড়েছে। এইসব দেশগুলিতে দূষণের মাত্রা এত বেশি ঠিক মত শ্বাস-প্রশ্বাস পর্যন্ত নেওয়া যায় না। নিরাপদ জলপান করা যায় না।' ভারতের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প এমনও বলেন, যে সেখানের কিছু শহরে শ্বাস নেওয়া যায় না। পাশাপাশি কোনও রিপোর্টের তোয়াক্কা না করেই ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বের পরিষ্কারতম পরিবেশের মধ্যে এখন আমেরিকা আছে।
শুধু তাই নয় ভারত চিন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি দূষণ নিয়ন্ত্রণে জন্য নিজেদের ভূমিকাও ঠিক ভাবে পালন করে না বলে দাবি করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন ভারত রাশিয়া বা চিন জানে না পরিবেশ সংরক্ষণ কী জিনিস। পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে এই দেশ গুলির প্রাথমিক ধারণা নেই বলেই মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি আলাদা করে কোনও বিশেষ শহরের নাম করতে চাই না। কিন্তু এমন কিছু কিছু শহর আছে যেগুলোতে গেলে নিশ্বাস পর্যন্ত নিতে কষ্ট হয়।' আরও পড়ুন- US Visa Application New Rules:আমেরিকার ভিসা পেতে এবার থেকে দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য
ট্রাম্প বলেন, '' আগামী প্রজন্মের জন্য দুনিয়াকে দূষণ মুক্ত হবে। আর এই কারণে সবাইকে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে।'' এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি চান ভবিষত প্রজন্মকে একটা ভাল পরিবেশ দিতে চান। যেখানে দূষণের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকবে না। গ্রেট ব্রিটেন সফরে এগিয়ে পরিবেশ দূষণ নিয়ে ট্রাম্পের পর সেখানকার সংবাদমাধ্যমেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ যে ট্রাম্প আজ দূষণ নিয়ে আতঙ্কের কথা বলছেন, তিনিই একসময় মানতে চাননি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কথা।
পরিবেশ রক্ষার জন্য তৈরি প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) থেকে ট্রাম্পের নেতৃত্বেই বেরিয়ে যায় আমেরিকা। সেই ট্রাম্প আচমকাই পরিবেশ প্রেমী হয়ে উঠলেন। এক ইন্টারভিউয়ে ট্রাম্প জানান, তাঁর প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে আমার মিনিট পনেরো কথা হবে বলে ঠিক ছিল, কিন্তু শেষমেশ তাঁদের আলোচনা দেড় ঘণ্টা চলে। এসব বলে ট্রাম্প বোঝানোর চেষ্টা করলেন আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে তিনি যথেষ্ট চিন্তিত।